অক্ষয়ের অনুমতি ছাড়া টুইঙ্কল যেতেন লন্ডনে

টুইঙ্কল খান্না, যিনি প্রথম জীবনে একজন অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, পরবর্তীতে লেখিকা হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৪ সালে ৪৯ বছর বয়সে অভিনেত্রী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আরও বেশি পড়াশোনা করবেন এবং লন্ডনে গিয়ে বসবাস করবেন। এই সিদ্ধান্তে তার স্বামী অক্ষয় কুমার পূর্ণ সমর্থন দেন।

Dec 29, 2024 - 06:45
 0  3
অক্ষয়ের অনুমতি ছাড়া টুইঙ্কল যেতেন লন্ডনে

টুইঙ্কল খান্না, যিনি প্রথম জীবনে একজন অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, পরবর্তীতে লেখিকা হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৪ সালে ৪৯ বছর বয়সে অভিনেত্রী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আরও বেশি পড়াশোনা করবেন এবং লন্ডনে গিয়ে বসবাস করবেন। এই সিদ্ধান্তে তার স্বামী অক্ষয় কুমার পূর্ণ সমর্থন দেন।

কিন্তু, যদি অক্ষয় সমর্থন না দিতেন, তাহলে কী করতেন টুইঙ্কল? পড়াশোনা ছেড়ে দিতেন, নাকি তার স্বপ্নকে পরিত্যাগ করে গৃহবন্দী হয়ে থাকতেন? সম্প্রতি এফআইসিসিএফএলও- এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কল বলেন, "আমি এমন একটি পরিবারে বড় হয়েছি যেখানে কোনও অনুমতির প্রয়োজন ছিল না। একজন ব্যক্তি নিজের স্বাধীনতার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে পারত। তবে আমি খুব ভাগ্যবান যে আমার স্বামী সব সময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।"

তিনি আরও বলেন, "যখন আমি লন্ডনে গিয়ে থাকার কথা বললাম অক্ষয়কে, তখন ও এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিল। তবে যদি ও রাজি না হত, আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থাকতাম। তবে, স্বাভাবিকভাবে, যদি সে সমর্থন না দিত, তাহলে কিছুটা কষ্ট হতো। তবে ওর পাশে থাকায় আমার পড়াশোনা করতে কোনও সমস্যা হয়নি।"

মহামারী চলাকালীন টুইঙ্কল কিছু অনলাইন কোর্স করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি সেগুলি চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালান। স্নাতক হওয়ার জন্য তিনি লন্ডনে চলে যান এবং ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি স্নাতক হন।

টুইঙ্কল খান্নার স্নাতক হওয়ার পর অক্ষয় কুমার ইনস্টাগ্রামে একটি নোট লিখেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, "আমি যখন দেখলাম তুমি কঠোর পরিশ্রম করছ, পড়াশোনার পাশাপাশি সন্তান এবং ক্যারিয়ার সবকিছু সুন্দরভাবে সামলাচ্ছো, তখন আমি বুঝলাম যে আমি একজন সুপারওম্যানকে বিয়ে করেছি। তোমার এই সফলতায় আমি ভীষণ খুশি। আজ মনে হচ্ছে, যদি আমি কিছু পড়াশোনা করতাম, তাহলে হয়তো তোমার জন্য আরও ভালো কিছু করতে পারতাম।"

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে ‘লাভ কে লিয়ে কুচ ভি কারেগা’ সিনেমায় সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন টুইঙ্কল। প্রযোজক হিসেবে তার শেষ কাজ ছিল ২০১৮ সালে ‘প্যাড ম্যান’ সিনেমা। সিনেমার পাশাপাশি তিনি একাধিক বইও লিখেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দ্য লিজেন্ড অফ লক্ষ্মী প্রসাদ’, ‘মিসেস ফানিবন্স’, এবং ‘পাজামা আর ফর গিভিং’।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow