চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হতে বাকি মাত্র দুই মাস। তবে এখনো টুর্নামেন্টটি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্বে ঝুলে আছে এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ। আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভারতের আপত্তির কারণে পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না। তাদের দাবি, টুর্নামেন্টটি হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে হবে, যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে হবে। তবে পাকিস্তান পুরো টুর্নামেন্ট তাদের মাটিতেই আয়োজন করতে চায়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ভারতের দাবি মেনে নিতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাভের গুড় খেতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
যদি পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলে রাজি হয়, তবে ভারতের ম্যাচগুলো বাংলাদেশে আয়োজন করতে আগ্রহী বিসিবি। এমনকি ফাইনাল ম্যাচেও ভারত থাকলে সেটি বাংলাদেশে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। একই গ্রুপে থাকায় ভারতের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে ম্যাচ খেলার সুযোগও পাবে বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনও আকর্ষণীয় হিসেবে দেখছে বিসিবি।
৫ ডিসেম্বর দুবাইয়ে আইসিসি সভায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে। যদি হাইব্রিড মডেল গৃহীত হয়, তাহলে ভারতের ম্যাচগুলো বাংলাদেশে আয়োজনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিসিবি। বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, “চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কয়েকটি ম্যাচ যদি আমরা আনতে পারি, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!”
এ নিয়ে পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভির সঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের ফোনালাপ হয়েছে। নাকভি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছেন। ফারুক আহমেদও হাইব্রিড মডেলে হলে ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছেন।
বিসিবি সভাপতির আজ দুবাই যাওয়ার কথা, যেখানে আইসিসি সভায় এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে। তবে যদি হাইব্রিড মডেল গৃহীত হয়, তাহলে ম্যাচ আয়োজনের দাবিদার এখন বাংলাদেশও। যদিও ভারত শুরু থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।