চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে জনতার ঢল
সড়কের দুই পাশে পতাকা, ব্যানার, ও ফেস্টুনে সাজানো ছিল। সারারাতই মানুষের আনাগোনায় সরগরম ছিল সড়কগুলো।
ডেস্ক রিপোর্টঃ সড়কের দুই পাশে পতাকা, ব্যানার, ও ফেস্টুনে সাজানো ছিল। সারারাতই মানুষের আনাগোনায় সরগরম ছিল সড়কগুলো। ভোর হতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে এ সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যায়। চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় সমবেত হন এসব মানুষ। এরপর বের হয় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস।
১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের আয়োজনে এই জশনে জুলুস চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার ছিল এর ৫২তম আয়োজন। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে জুলুস বের হয়। এতে বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো মানুষ অংশ নেন।
এবারের জুলুসের নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবের শাহ্। অতিথি ছিলেন শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্। এর আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়। আয়োজকরা জানান, ১৯৭৪ সালে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) এই জুলুসের সূচনা করেন।
জুলুস বিবিরহাট হয়ে মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড় ঘুরে জামেয়া মাদ্রাসার মাঠে গিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। পুরো পথ হামদ, নাত ও দরুদ শরীফের ধ্বনিতে মুখরিত ছিল। কেউ হেঁটে, কেউ মোটরসাইকেল বা পিকআপে চড়ে জুলুসে অংশ নেন।
জুলুস ঘিরে সড়কজুড়ে ভাসমান দোকান বসে। সেখানে টুপি, তসবিহ, আতর, পতাকা, পাঞ্জাবি বিক্রি হয়েছে। জুলুসের অংশগ্রহণকারীদের জন্য শরবত, পানি, ও খাদ্য বিতরণ করা হয়।
নগর পুলিশ জানায়, জুলুসের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন সড়কে ডাইভারশন দিয়ে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। জুলুস শেষ হলে সেগুলো তুলে নেওয়া হয়।
What's Your Reaction?