"নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না ডিম-মুরগি, কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে দাম"

সরকারি ভাবে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি।

Sep 16, 2024 - 11:30
 0  26
"নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না ডিম-মুরগি, কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে দাম"

ডেস্ক রিপোর্টঃ সরকারি ভাবে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। রাজধানীর কিছু বাজারে পর্যালোচনা করে জানা গেছে, নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। বরং কিছু ক্ষেত্রে ডিম ও মুরগির দাম আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিম ও ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। নতুন দরে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা ও সোনালি মুরগি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, যা প্রতি ডজন ডিমের জন্য ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

গতকাল রোববার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এই তিন পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রি খাতের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জন্য ডিম ও মুরগির ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজারে আজ সকালে দেখা গেছে, এসব বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং ডিম আগের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাইব্রিড সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২৪০ টাকা।

অন্যদিকে, ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়, অর্থাৎ প্রতি ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। ফার্মের সাদা ডিমের দামও প্রতি ডজন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার ছয়টি বাজারে মুরগি ও ডিমের দামের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। তখন কোনো বাজারেই ১৮০ টাকার নিচে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়নি। এখন সরকারিভাবে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকার নিচে নির্ধারণ করলেও এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বাজারে মুরগির দাম বেড়ে গেছে।

এছাড়া, ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গত বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৫০-২৭০ টাকায় এবং ফার্মের বাদামি ডিম ১৬০ টাকা ও সাদা ডিম ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ বাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির ডিম অনুমতি দেওয়ার পর গত সপ্তাহে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮০০টি ডিম দেশে এসেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি বন্যার কারণে অনেক মুরগির খামার নষ্ট হয়েছে, যার ফলে মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কমেছে। আবার ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের পরিমাণও কম হওয়ায় দাম কমছে না।

এর আগে দাম বেঁধে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল, যেমন গত বছরের সেপ্টেম্বরে আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ওই দাম বাজারে কার্যকর হয়নি।

আজ বাজারে মাছের দামও বেড়েছে। মাছ বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে অনেকেই কেনাকাটা করতে পারেননি, ফলে আজ অনেক ক্রেতা বাজারমুখী হয়েছেন। মাছের সরবরাহ কম থাকায় রুই, পাঙাশ, কই, তেলাপিয়া প্রভৃতি মাছের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে গেছে।

বিক্রেতারা জানান, আজ বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায়। সাধারণত এই মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। একইভাবে ৪০০ টাকা কেজির শিং মাছের দাম বেড়ে ৪৭০-৪৮০ টাকা হয়েছে; ১৮০-২০০ টাকা কেজির কই মাছ ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow