রাখাইনে জান্তার গুরুত্বপূর্ণ সেনাসদর দখল করলো আরাকান আর্মি
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সদর দপ্তর দখল করেছে আরাকান আর্মি। এর মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দ্বিতীয়বারের মতো একটি আঞ্চলিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারাল, যা তাদের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সদর দপ্তর দখল করেছে আরাকান আর্মি। এর মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দ্বিতীয়বারের মতো একটি আঞ্চলিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারাল, যা তাদের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ফার্স্ট পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
আরাকান আর্মি তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতিতে জানায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা লড়াইয়ের পর গত শুক্রবার তারা পশ্চিমাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ড পুরোপুরি দখল করতে সক্ষম হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “দুই সপ্তাহের তীব্র লড়াইয়ের পর, রাখাইনের আন শহরে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের পতন হয়েছে। এখন এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে।”
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ১৪টি আঞ্চলিক কমান্ড রয়েছে, যেগুলোর অধীনে নির্দিষ্ট অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এটির আগে, আগস্টে চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যের রাজধানী লাশিওতে বিদ্রোহীরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এটি ছিল বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়া প্রথম আঞ্চলিক সেনা কমান্ড।
গত ৮ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মংডু শহর দখল করে আরাকান আর্মি, ফলে মিয়ানমার-বাংলাদেশ ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের পুরো অংশ এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে শুধু রাজ্যটির রাজধানী সিত্তে জান্তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৈাহিদ হোসেন রোববার এক সেমিনারে জানান, রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
What's Your Reaction?