সব বাড়ি থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি যে এলাকার
ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) নকশা অনুযায়ী খেলনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বস্তু প্রিন্ট করা যায় থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে। এবার বিশাল আকারের থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে পুরো একটি আবাসিক এলাকার বাড়ি তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের জর্জটাউন শহরের ওল্ফ রাঞ্চে।
ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) নকশা অনুযায়ী খেলনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বস্তু প্রিন্ট করা যায় থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে। এবার বিশাল আকারের থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে পুরো একটি আবাসিক এলাকার বাড়ি তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের জর্জটাউন শহরের ওল্ফ রাঞ্চে। এসব বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ভলকান নামে বিশাল এক থ্রিডি প্রিন্টার। ৪৫ ফুট চওড়া থ্রিডি প্রিন্টারটির মাধ্যমে কংক্রিট পাউডার, পানি, বালু আর বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে দ্রুত নকশা অনুযায়ী বাড়ি বা অবকাঠামো তৈরি করা যায়। আইকন বিল্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিশালাকার এই ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের মাধ্যমে আবাসিক এলাকাটিতে ১০০টি বাড়ি তৈরি করছে। এরই মধ্যে বেশির ভাগ বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আইকন বিল্ডের তথ্যমতে, প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে কম খরচে দ্রুত বাড়ি তৈরি করা যায়। এসব বাড়ি তৈরিতে অনেক কম কর্মী প্রয়োজন হয় আর নির্মাণসামগ্রীর অপচয়ও হয় বেশ কম। থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে তৈরি বাড়িগুলোর দাম সাড়ে ৪ লাখ ডলার থেকে ৬ লাখ ডলার পর্যন্ত। এরই মধ্যে থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে তৈরি এক–চতুর্থাংশের বেশি বাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে।
আইকন বিল্ডের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প ব্যবস্থাপক কনার জেনকিন্স জানিয়েছেন, নির্মাণশিল্পে থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। আগে যেখানে দেয়াল তৈরির জন্য পাঁচজন শ্রমিকের দরকার হতো, এখন সেখানে একজন কর্মী ও একটি রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে কংক্রিট পাউডার, পানি, বালু আর বিভিন্ন উপকরণের পেস্ট বানিয়ে ভবনের দেয়াল স্তরে স্তরে তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি অনেকটা ব্রাশের ওপর টুথপেস্ট ব্যবহার করার মতো। ফলে তিন থেকে চার রুমের একতলা একটি বাড়ি তৈরি করতে প্রায় তিন সপ্তাহ সময় প্রয়োজন হয়। এসব বাড়ির ভিত্তি ও ধাতব ছাদ প্রচলিত নিয়মে করা হলেও শুধু দেয়াল তৈরি করা হয় থ্রিডি প্রিন্টারে। কংক্রিটের দেয়ালগুলো পানি, উইপোকা ও চরম আবহাওয়া প্রতিরোধক।
২০১৮ সালে প্রথম থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বাড়ি তৈরি শুরু করে আইকন বিল্ড। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাঁদে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে নাসা। আর্টেমিস মুন এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে চাঁদে মহাকাশযানের অবতরণস্থল, আশ্রয়কেন্দ্র ও অন্যান্য কাঠামো তৈরির জন্য আইকনের সঙ্গে চুক্তিও করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: রয়টার্স
What's Your Reaction?