দেশের স্বার্থে সব দলের ঐক্য
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের অপপ্রচার, হস্তক্ষেপ ও উসকানির বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ সংলাপে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সংলাপের শুরুতে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, তা একযোগে পেয়েছি। কোন মতভেদ বা ধাক্কাধাক্কি করে নয়। যারা আমাদের বুকের ওপর চেপে ছিল, তাদের আমরা বের করে দিয়েছি।” তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রায় ৩৫টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যেমন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, বাসদ, নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইত্যাদি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু এই বিষয়ে সবাই একমত।”
সংলাপে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেন।
বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ভারতকে মর্যাদাশীল প্রতিবেশী হিসেবে আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়। এই ধরনের উদ্যোগে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্য ঘোষণা করা হয়, এবং তারা বলেছে যে, কোন ধরনের অপপ্রচার বা উসকানির বিরুদ্ধে তারা একসাথে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “যেভাবে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, তেমনি আমরা এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।” তারা নির্বাচনের জন্য দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়ারও দাবি জানান।
এছাড়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, "দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে আমরা সবাই একমত।" তিনি ভারতের প্রতি কিছু ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের উসকানিমূলক ভূমিকা নিন্দা করেন।
এভাবে, বৈঠকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় ঐক্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
What's Your Reaction?