বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নবদম্পতি
মারজোরি ফিটারম্যানের বয়স ১০২ বছর এবং বার্নি লিটম্যানের বয়স ১০০ বছর। জীবনের শেষ সময়ে এসে তারা দুজনেই এখন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে একে অপরের পাশে আছেন।
মারজোরি ফিটারম্যানের বয়স ১০২ বছর এবং বার্নি লিটম্যানের বয়স ১০০ বছর। জীবনের শেষ সময়ে এসে তারা দুজনেই এখন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে একে অপরের পাশে আছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, মারজোরির স্বামী এবং বার্নির স্ত্রী আর বেঁচে নেই, তবে বৃদ্ধাশ্রমে একে অপরকে পেয়ে তারা ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পেয়েছেন। প্রায় ৯ বছরের সম্পর্কের পর, ১৯ মে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক দম্পতি হিসেবে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন। তাদের সম্মিলিত বয়স এখন ২০২ বছর ২৭১ দিন।
বৃদ্ধাশ্রমের একই তলায় এক অনুষ্ঠানে প্রথমবার একে অপরকে দেখেন মারজোরি এবং বার্নি। সেদিন থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একদিন, বার্নির নাতির সন্তানের জন্মের দিনে, তারা একসঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করেন।
মারজোরি এবং বার্নি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তবে সেই সময় তারা একে অপরকে চিনতেন না। পরে, বার্নি প্রকৌশল বিদ্যায় ডিগ্রি লাভ করেন এবং পেশায় প্রকৌশলী হন, আর মারজোরি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত হন।
বার্নির নাতনি সারাহ সিচারম্যান বলেন, পরিবারের সবাই এই বিয়ের খবরে 'রোমাঞ্চিত' হয়েছে। তারা একে অপরকে জীবনের সঙ্গী হিসেবে পেয়ে ভাগ্যবান মনে করছেন। বিশেষ করে করোনাকালে তারা একে অপরের পাশে ছিলেন।
পারিবারিক সদস্যদের ধারণা ছিল, তাদের বয়সের কারণে আর কখনও বিয়ে করবেন না, কিন্তু তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন, যা সবাইকে অবাক করেছে। সারাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘‘আজ আমার ১০০ বছর বয়সী দাদা তাঁর ১০২ বছর বয়সী বান্ধবীকে বিয়ে করেছেন।’’
সারাহ আরো বলেন, ‘‘তারা একে অপরের রসবোধ এবং বুদ্ধিমত্তাকে পছন্দ করেন। তারা একে অপরকে তরুণ রাখেন।’’
What's Your Reaction?