নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল জামায়াত সেক্রেটারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, "আমরা খুব বিলম্বে নির্বাচনের পক্ষে নই। খুব বেশি সময় প্রয়োজন নেই, আবার অতি অল্প সময়েও সম্ভব নয়। কারণ, নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্গান সংস্কার না করে, যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তাহলে সেটা ভালো ফল বয়ে আনবে না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, "আমরা খুব বিলম্বে নির্বাচনের পক্ষে নই। খুব বেশি সময় প্রয়োজন নেই, আবার অতি অল্প সময়েও সম্ভব নয়। কারণ, নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্গান সংস্কার না করে, যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তাহলে সেটা ভালো ফল বয়ে আনবে না।"
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আনন্দ পল্লীতে জেলা রোকন (সদস্য) শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, "যদি তাড়াহুড়ো করা হয়, তাহলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের মতো নির্বাচন হবে। আপনি ভোট দিতে গেলে, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ লীগ আপনাকে আটকে বলবে 'আপনার ভোট হয়ে গেছে, বাড়ি চলে যান'। এজন্য আমি মনে করি, এখানে সময়টা মুখ্য নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ৬-৭ মাস বা এক বছরের মধ্যে হলেও, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না করে নির্বাচন দিলেন, তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।"
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, "অথবা ৫-৬ বছর সময় অতিবাহিত করেও যদি গুরুত্বপূর্ণ অর্গানগুলো সংস্কার না হয়, এবং ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থেকে যায়, যেমন ওসি, ডিসি, নির্বাচন কমিশন—তাহলে ৬ বছর সময় দিয়ে কী লাভ? সেই একই নির্বাচন হবে। তাই সময় নয়, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা উচিত, যেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সেই পরিবেশ তৈরি হতে যতটুকু যৌক্তিক সময় নির্বাচন কমিশনের লাগবে, আমরা সেই সময় দিতে প্রস্তুত।"
ভারতের আগ্রাসন বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, "দুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান করেছিলেন, আমাদের অখণ্ডতা, মূল্যবোধ এবং জাতিসত্তার বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমিরের নেতৃত্বে আমরা একটি প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়েছি। আমাদের আমির সাহেব জাতীয় ঐক্যবদ্ধতার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।"
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমির আব্দুল জব্বার, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মমিনুল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান, এপিপি অ্যাডভোকেট ইসরাফিল ইসলাম প্রমুখ।
What's Your Reaction?