গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারি করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। শেষপর্যন্ত তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, "দেশে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।"
তিনি আরও বলেন, "একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমি মরিয়া হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটি জনগণের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং তাদের অসুবিধার মুখে ফেলেছে।"
প্রেসিডেন্ট ইউন স্পষ্ট করেন যে, এই ঘোষণার ফলে যে কোনও আইনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দায় তিনি এড়াবেন না। তবে জনগণের মধ্যে আরেকবার সামরিক আইন জারি হওয়ার শঙ্কা থাকলেও, তিনি তা পুনরায় না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিরোধীদের দাবির মুখে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, তিনি হয়তো এই ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন। কিন্তু তা না করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। অভিশংসন ইস্যুতে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
তবে বিরোধী দলগুলোর মতে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল যথেষ্ট দেরি করে ফেলেছেন। আজ (শনিবার) পার্লামেন্টে তার অভিশংসন নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্ষমা চাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। হয় তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে, নতুবা অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।