৩ মাস পর কোন কৌশলে দেশ ছাড়েন কাদের, বর্তমানে কোথায় আছেন?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তৈরি হওয়া গণজোয়ারে কঠোর চাপের মুখে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা ভারতে চলে গেছেন, যা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। দলের পক্ষ থেকে কোনো দিকনির্দেশনা না পাওয়ায়, নেতাকর্মীরা প্রথমে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান, এরপর অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তৈরি হওয়া গণজোয়ারে কঠোর চাপের মুখে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা ভারতে চলে গেছেন, যা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। দলের পক্ষ থেকে কোনো দিকনির্দেশনা না পাওয়ায়, নেতাকর্মীরা প্রথমে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান, এরপর অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যান।
৫ আগস্টের পরপরই আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা দেশ ছাড়েন। তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম, এবং নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ আরও অনেকেই।
তবে রাজনৈতিক মহলে তখন বড় প্রশ্ন ছিল—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন? তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে? বিভিন্ন সময়ে ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছিল।
গণমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, গণঅভ্যুত্থানের পর তিন মাস ৫ দিন তিনি দেশে ছিলেন। এই সময়ে তিনি নিরাপদে ছিলেন এবং ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি দলের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু সাড়া মেলেনি।
সূত্রের দাবি, ছাত্র আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া মন্তব্যে শেখ হাসিনা বেশ বিরক্ত ছিলেন। তার “ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট” মন্তব্যে আন্দোলনে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা দলের নেতাদের মধ্যে অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।
৮ নভেম্বর, ওবায়দুল কাদের শিলং হয়ে কলকাতায় পৌঁছান এবং সেখানে তিনি নিরাপদে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে, তিনি কীভাবে দেশ ছাড়বেন, তা নিয়ে পরিকল্পনা চলছিল। একসময় তিনি সড়কপথে কলকাতা পৌঁছান, এবং সেখানে অবস্থান করেন। দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তার থাকার কথা ছিল। কিছু সদস্য ভারত সরকারের কাছে তার জন্য লবিং করছিলেন, তবে শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখাননি।
এর আগে ৯ নভেম্বর, চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের আগ্রাবাদ অ্যাক্সেস রোডে একটি বাড়িতে ওবায়দুল কাদের অবস্থান করছেন এমন সন্দেহে পুলিশ অভিযান চালায়। তবে তাকে না পেয়ে, তার স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল হুদা বাবুকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১০ নভেম্বর সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে ওবায়দুল কাদের লাপাত্তা হয়ে যান, এবং তাকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও তার সন্ধান পায়নি।
What's Your Reaction?