হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত সম্পন্ন করতে ২ মাস সময় বাড়ানো হলো
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুই মাস সময় বাড়িয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুই মাস সময় বাড়িয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছে।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আইসিটি বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এছাড়া, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, রাজনৈতিক উপদেষ্টা, মন্ত্রী, আমলা, বিচারকসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে আজকের মধ্যে দুটি মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তদন্ত শেষ করতে বেশি সময় লাগছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
এর আগে সাবেক মন্ত্রী, আমলা, রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও বিচারপতিসহ অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মঙ্গলবার আব্দুর রাজ্জাককেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক মন্ত্রী ও শ্রমিক দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এবং শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান।
মঙ্গলবার সকালে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
What's Your Reaction?