সালমান রহমানের দাড়ি কামানো নিয়ে ডা. জাহিদের মন্তব্য
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, "আওয়ামী লীগ নেতাদের এত পরিমাণ গুম, খুন ও লুটপাট সত্ত্বেও তারা শেষ রক্ষা পায়নি।" তিনি আরও বলেন, "নিজেকে বাঁচানোর জন্য আপনি (সালমান এফ রহমান) আপনার দাড়ি কামিয়েছেন, কিন্তু অহংকারই পতনের মূল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, "আওয়ামী লীগ নেতাদের এত পরিমাণ গুম, খুন ও লুটপাট সত্ত্বেও তারা শেষ রক্ষা পায়নি।" তিনি আরও বলেন, "নিজেকে বাঁচানোর জন্য আপনি (সালমান এফ রহমান) আপনার দাড়ি কামিয়েছেন, কিন্তু অহংকারই পতনের মূল। প্রত্যেকটা কাজের হিসাব আগামী প্রজন্মের কাছে দিতে হবে। কিছু লোক হয়তো নেদারল্যান্ড বা কলকাতা গেছেন, কেউ কেউ তাড়াতাড়ি ঢুকার চেষ্টা করছেন। সৎ সাহস থাকলে, বিচারের মুখোমুখি হোন।"
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন ডা. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, "আমরা রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে ৩১ দফা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের দাবি, অতিদ্রুত জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। এরশাদের পতনের সময় কীভাবে নির্বাচন হয়েছিল তা সবার মনে আছে। দেশের মানুষ জানে, নির্বাচন করতে কত সময় লাগে। বর্তমান পতিত স্বৈরাচারী সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছে। তবে, নির্বাচনের তারিখ জানানো উচিত।"
ডা. জাহিদ হোসেন অন্তর্বতী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনারা সব সংস্কার করতে পারবেন না, তবে নির্বাচন কবে হবে তা স্পষ্টভাবে জানান। প্রধান উপদেষ্টা একভাবে বলছেন, তার প্রেস সচিব অন্যভাবে বলছেন। আপনাদেরই তো আমরা সহযোগিতা করছি। দায়িত্ব নিয়ে কথা বলুন, না হলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে।"
তিনি আরও বলেন, "মানুষের দুর্বিষহ জীবন থেকে উত্তরণের জন্য জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশে ঘাপটি মেরে আছে। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে, তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। যারা দেশের ভিতর ও বাইরে ষড়যন্ত্র করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসী এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, ইনশাআল্লাহ।"
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, "ডিসেম্বর মাসে, স্বাধীনতার মাসে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার গৌরব ছিনতাই করতে চাইছেন। দেশের অসংখ্য মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অমূল্য ত্যাগ দিয়েছেন। আমরা মোদির মন্তব্যকে ঘৃণা করি এবং প্রত্যাখ্যান করি। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তা বিনষ্ট করা যাবে না। আগামীতে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে আমরা একত্রিত হবো, ইনশাআল্লাহ।"
সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, "মোদির মন্তব্য বাংলাদেশের অস্তিত্ব অস্বীকার করার শামিল। রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে, আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তার দাঁতভাঙা জবাব দেব।"
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, "এই সরকারকে অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যদি কোন উপদেষ্টা কিংস পার্টি গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার কল্পনা করেন, তবে তা ভুল চিন্তা হবে। আমরা লড়াই করতে জানি এবং রাজপথে আছি।"
এদিনের সমাবেশে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
What's Your Reaction?