স্কুলে ভর্তি চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত, সর্বোচ্চ ভর্তি ফি কত?
সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এই ফলাফল অনুযায়ী মেধাতালিকা, প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা এবং দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এই ফলাফল এবং ভর্তি নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
**সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ**
সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এই ফলাফল অনুযায়ী মেধাতালিকা, প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা এবং দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এই ফলাফল এবং ভর্তি নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মেধাতালিকায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ৬ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি নেওয়া যাবে। এরপরও যদি আসন ফাঁকা থাকে, তবে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসন পূর্ণ করতে হবে।
**ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ**
দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভর্তির ফি ভিন্ন হবে। মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বমোট ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকাগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা এবং মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) ৩ হাজার টাকা হতে পারে।
রাজধানী ঢাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আংশিক এমপিওভুক্ত স্কুলগুলো ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তি ফি নিতে পারবে, এবং ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারিত।
রাজধানীর স্কুলগুলোর উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি হবে না এবং বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনঃভর্তি ফি আদায় করা যাবে না।
**ভর্তির জন্য জরুরি তথ্য**
ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা মাউশির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে:
- ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের প্রধানরা তাদের প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লিংকে লগইন করে আবেদনকারীদের তালিকা ডাউনলোড করতে পারবেন।
- লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত, প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের তথ্য এই লিংক থেকে যাচাই করা যাবে।
- যদি কোনো শিক্ষার্থী একাধিকবার আবেদন করে থাকেন এবং তার তথ্য সঠিক না হয়, তবে তাকে ভর্তি করা যাবে না।
- ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে, এর মধ্যে শিক্ষার্থীর জন্ম সনদ, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ইত্যাদি থাকতে হবে।
- কোটা সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই করে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। যদি কোনো কারণে কোটার শূন্য আসন পূর্ণ না হয়, তবে প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সেই আসন পূর্ণ করতে হবে।
- ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কোনো স্কুলে আসন শূন্য হলে সেই আসনে শুধুমাত্র ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারবেন। এই শূন্য আসনে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না, যদি না মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
**নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে দায়ী থাকবে প্রতিষ্ঠান প্রধান**
এছাড়া, মাউশি নির্দেশনা দিয়েছে যে, যদি কোনো শিক্ষার্থী বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হয়ে যায় এবং পরে তা প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে দায়ী রাখা হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে এই তালিকা প্রকাশ করবে এবং ভর্তি কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হবে, যাতে কোনো শিক্ষার্থী বিধি অনুসারে ভর্তি হতে পারে।
What's Your Reaction?