অবসর নেওয়া অশ্বিন সম্পর্কে যা বললেন কোহলি
বৃষ্টির কারণে খেলা তখন বন্ধ ছিল, আর সাজঘরে বসে ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং বিরাট কোহলি। এই সময়েই অশ্বিন তার অবসর নেওয়ার কথা জানান বিরাটকে। সম্প্রচারকারী সংস্থার ক্যামেরায় দেখা যায়, বিরাট চোখ মুছাচ্ছেন, তার দীর্ঘদিনের বন্ধুর ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার কথা শোনার পর আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। খেলা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা পর বিরাট সেই মুহূর্তের কথা শেয়ার করেন।
বৃষ্টির কারণে খেলা তখন বন্ধ ছিল, আর সাজঘরে বসে ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং বিরাট কোহলি। এই সময়েই অশ্বিন তার অবসর নেওয়ার কথা জানান বিরাটকে। সম্প্রচারকারী সংস্থার ক্যামেরায় দেখা যায়, বিরাট চোখ মুছাচ্ছেন, তার দীর্ঘদিনের বন্ধুর ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার কথা শোনার পর আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। খেলা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা পর বিরাট সেই মুহূর্তের কথা শেয়ার করেন।
বিরাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ২০০৮ সালে, এবং অশ্বিন ভারতীয় দলে প্রথমবার জায়গা করে নেন ২০১০ সালে। তাদের একসঙ্গে খেলার সময় হয়েছিল ১৪ বছর। বিরাট তার আবেগময় পোস্টে লিখেছেন, "১৪ বছর তোমার সঙ্গে খেলছি, তাই যখন তুমি অবসরের কথা বললে, তখন আমাদের একসঙ্গে কাটানো সময়গুলো মনে পড়ে গেল। তোমার সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্তই উপভোগ করেছি। তোমার ক্ষমতা এবং ভারতীয় দলকে ম্যাচ জেতানোর দক্ষতার কোনও তুলনা হবে না। ভারতীয় ক্রিকেটে তুমি কিংবদন্তি হয়ে থাকবে।"
বিরাট আরও বলেন, "তোমার আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা, বিশেষ করে তোমার পরিবারের জন্য। আমি জানি, তুমি যা কিছু করবে, তাতে সফল হবে। অনেক ভালোবাসা এবং সম্মান তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে। সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ, বন্ধু।"
সাজঘরে বিরাট যখন অশ্বিনকে জড়িয়ে ধরেন এবং চোখ মুছিয়ে দেন, তখনই শুরু হয়ে যায় অবসরের জল্পনা। ম্যাচ শেষে, অধিনায়ক রোহিত শর্মার পাশে বসে অশ্বিন তার অবসর ঘোষণা করেন। ভারতের অন্যতম সেরা স্পিনার বলেন, "আমার এখানে আসার কথা ছিল না, তবে একটি কথা সবাইকে জানাতে চাই—এটাই আমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ দিন। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।"
ভারতের প্রাক্তন কোচ গৌতম গম্ভীরও তার পোস্টে অশ্বিনের প্রশংসা করেন, "তোমাকে একজন তরুণ বোলার থেকে আধুনিক ক্রিকেটের কিংবদন্তি হয়ে উঠতে দেখার সৌভাগ্য আমার ছিল। আমি জানি, আগামী প্রজন্মের বোলাররা অশ্বিনের মতো হতে চাইবে। তোমার অভাব অনুভব করব।"
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভারতের হয়ে ১০৬টি টেস্ট ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, যেখানে ২০০ ইনিংসে বল করে ৫৩৭ উইকেট অর্জন করেছেন। টেস্টে তার সেরা পারফরম্যান্স ছিল ৫৯ রানে ৭ উইকেট। এছাড়া, তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে ১১৬ ম্যাচে ১৫৬ উইকেট এবং ৬৫ টি-২০ ম্যাচে ৭২ উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে ৬টি সেঞ্চুরি এবং ১৪টি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ১২৪ রান।
What's Your Reaction?