বিদ্রোহীদের কাছে কৌশলগত তথ্য পাচার করছে মিয়ানমার সেনারা

মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের ফলে দেশটির ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর মধ্যে এক ধরনের ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য বর্তমানে বিদ্রোহীদের কাছে কৌশলগত তথ্য ফাঁস করছেন, যার কারণে জান্তা সরকার দুর্বল হয়ে পড়ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

Dec 21, 2024 - 05:04
 0  0
বিদ্রোহীদের কাছে কৌশলগত তথ্য পাচার করছে মিয়ানমার সেনারা

মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের ফলে দেশটির ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর মধ্যে এক ধরনের ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য বর্তমানে বিদ্রোহীদের কাছে কৌশলগত তথ্য ফাঁস করছেন, যার কারণে জান্তা সরকার দুর্বল হয়ে পড়ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, বাহিনীর মধ্যে অনেকে বাহ্যিকভাবে সেনাবাহিনীর প্রতি অনুগত থাকলেও গোপনে বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছেন। এসব গুপ্তচরদের অনেককে ‘ওয়াটারমেলন’ বা "পাকা তরমুজ" নামে অভিহিত করা হচ্ছে। বাহ্যিকভাবে সবুজ, কিন্তু অভ্যন্তরে রক্তিম লাল—এভাবে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এসব সদস্যরা কিছুটা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন, যাদের কার্যক্রম একে অপরের বিপক্ষে, কিন্তু সেসব একযোগী হয়ে বিদ্রোহীদের সাহায্য করছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিয়ানমারে কয়েক বছর ধরে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থি বিদ্রোহীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে গত ১২ মাসে সেনাবাহিনী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হারিয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের এক–চতুর্থাংশেরও কম অঞ্চল সেনাবাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এ পরিস্থিতি সত্ত্বেও জান্তা সরকার এখনও সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। 

মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের কিয়াও নামের এক মেজর জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কারণে তিনি বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি নির্যাতিত নাগরিকদের লাশ দেখেছি, যা আমার চোখে পানি এনে দিয়েছে। আমরা শপথ নিয়েছিলাম নাগরিকদের রক্ষা করার, কিন্তু এখন আমরা তাদের হত্যা করছি।"

গুপ্তচররা যে তথ্য সরবরাহ করছে, তা বিদ্রোহীদের সফল হামলায় সহায়ক হচ্ছে। এসব হামলা সেনাবাহিনীর অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়েছে। বিদ্রোহী নেতা উইন আউং জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এসব গুপ্তচরদের সম্মান জানানো হবে এবং তাদের জীবন যাপন পছন্দ অনুযায়ী সাজানোর জন্য সাহায্য করা হবে। 

বিবিসির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow