৬ লাখ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাসের বেশি সময় পার হলেও ২৫৭টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা কাটছে না। এসব প্রকল্পে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে বৈদেশিক ঋণ অনুসন্ধান শুরু করার কথা ছিল, কিন্তু নতুন সরকারের কাছে এখনো কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পৌঁছায়নি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এসব প্রকল্পের বিষয়ে ঋণ চাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধায় রয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাসের বেশি সময় পার হলেও ২৫৭টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা কাটছে না। এসব প্রকল্পে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে বৈদেশিক ঋণ অনুসন্ধান শুরু করার কথা ছিল, কিন্তু নতুন সরকারের কাছে এখনো কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পৌঁছায়নি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এসব প্রকল্পের বিষয়ে ঋণ চাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধায় রয়েছে।
আগামী ২৫ নভেম্বর একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্পের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সরকার এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি, এর ফলে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে এই ২৫৭টি প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ প্রয়োজন, যার মধ্যে কিছু প্রকল্পে উচ্চ অগ্রাধিকার রয়েছে। এসব প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি ঋণ লাগবে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে, যার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা।
এছাড়া, অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে, যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এবং ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটি কেরানীগঞ্জ প্রকল্প, যার বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন রয়েছে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ পাওয়া।
What's Your Reaction?