সচিবালয়ে সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপ-সচিব এবং যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির জন্য ক্যাডার বহির্ভূতদের এক তৃতীয়াংশ পদ সংরক্ষণের দাবিতে সচিবালয় কর্মচারীরা ৬ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো ওই সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে চলেছেন, যার ফলে কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ, হতাশা এবং অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন সংক্রান্ত গত ১৪ আগস্টের প্রস্তাবের উপর এখনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিধি অনুবিভাগের চাহিদা অনুযায়ী স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব না আসায় কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে কর্মচারীদের ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার, বেলা ১১টায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের শতাধিক কর্মচারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমায়েত হয়ে অতিরিক্ত সচিবের (এপিডি) দপ্তরে তাদের ক্ষোভ এবং হতাশার কথা জানান। পরে তারা অর্থ বিভাগে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন এবং বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন।
জানা গেছে, সহকারী সচিব পদে ২২৪টি, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৫৬টি, উপসচিব পদে ৫৯টি এবং যুগ্ম সচিব পদে ৩১টি পদ রয়েছে। খসড়া কার্যবিবরণীতে সহকারী সচিবের জন্য ৬৪টি, সিনিয়র সহকারী সচিবের জন্য ১১টি, উপসচিবের জন্য ৬টি পদ সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে সংরক্ষিত পদ রয়েছে সহকারী সচিবের ২৯২টি, সিনিয়র সহকারী সচিবের ৭৮টি এবং উপসচিবের ৯টি।
এছাড়া, জাতীয় নবম পে-স্কেল ঘোষণা, পূর্বের মতো টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মতো সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয় ভাতা, ১০০ ভাগ পেনশন পুনর্বহাল এবং পেনশন গ্র্যাচুইটির হার ১:৫০০ টাকা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।