"যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত অন্তত ২২ জন"
ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননজুড়ে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। মঙ্গলবার, যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়, ঠিক সেই দিনই ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এই হামলা চালায়
ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননজুড়ে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। মঙ্গলবার, যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়, ঠিক সেই দিনই ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এই হামলা চালায়। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিমান হামলায় বৈরুত, বালবেক, বেন্ত জেবেইল, চাকরা, আল বাস্তা এবং বারবোর অঞ্চলে নিহত ও আহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, হামলার পর ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বিশেষ সেশন আহ্বান করেন নেতানিয়াহু। সেই সেশনে লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করা হয়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, যুদ্ধবিরতির ‘আগ মুহূর্ত পর্যন্ত’ লেবাননে অভিযান অব্যাহত রাখবে আইডিএফ।
ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হিজবুল্লাহ সীমান্ত এলাকা থেকে সরে যাবে। এছাড়া, তারা সীমান্তে অবকাঠামো নির্মাণ বা অস্ত্র সংগ্রহেরও অনুমতি পাবে না।
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হিজবুল্লাহ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। গত এক বছরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অনেকেই নিহত হয়েছেন, ফলে গোষ্ঠীটির নেতৃত্বের কাঠামো প্রায় ভেঙে পড়েছে।
What's Your Reaction?