সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের অধিকাংশ অংশ বিদ্রোহীরা দখল নেওয়ার পর সেখানে রুশ বিমান হামলা চালিয়েছে। ২০১৬ সালের পর এটি প্রথম রুশ বিমান হামলা।
ইসলামপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠী হায়াত তারির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের একটি অংশ আলেপ্পো শহরের গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, যা ব্রিটেনভিত্তিক সংগঠন 'সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস' জানিয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি কিছুদিন শান্ত থাকার পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জিহাদী বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর বেশিরভাগ অংশ দখল করার পর রাশিয়া ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিমান বাহিনী সেখানে বিমান হামলা চালায়।
ব্রিটেনভিত্তিক সংগঠন 'সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস' জানায়, হায়াত তারির আল-শামের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা আলেপ্পোর অনেক ভেতরে প্রবেশ করেছে।
এদিকে, সিরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, গত কয়েক দিনে আলেপ্পো এবং ইডলিবে দেশটির বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছেন এবং পাল্টা হামলা চালানোর আগে কিছু সেনাকে সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর সূত্র মতে, বিদ্রোহীরা আলেপ্পোর বড় অংশ দখল করেছে, এবং রাশিয়া ও সিরিয়ার বাহিনীর বিমান হামলার শিকার হয়েছে ওই অঞ্চলের শহর ও গ্রাম। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, বিদ্রোহীরা শহরে প্রবেশ করার পর প্রায় ১৪ হাজার মানুষ তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী ২০১৫ সাল থেকে রাশিয়ার সাহায্যে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। গত কয়েক বছরে রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় সিরিয়ার দুই তৃতীয়াংশ অঞ্চল সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এর মধ্যে বিদ্রোহীদের শেষ শক্তিশালী অবস্থান, আলেপ্পো এবং ইডলিবও রয়েছে।
অবজারভেটরি জানিয়েছে, আলেপ্পোয় চলমান সংঘাতে ৩০১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৮ জন বেসামরিক নাগরিক।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাশার আল আসাদের বাহিনীর দমন-পীড়নে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলন চালানোর কারণে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।