ইসরাইলি কারাগারে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখে ফিলিস্তিনি বন্দিরা
ইসরাইলের কারাগারগুলোতে বিপুল পরিমাণ ফিলিস্তিনি নাগরিক বিনা বিচারে এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া আটক আছেন, অনেকেই বছরের পর বছর কারাবরণ করছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনি বন্দির সংখ্যা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরাইলের কারাগারগুলোতে বিপুল পরিমাণ ফিলিস্তিনি নাগরিক বিনা বিচারে এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া আটক আছেন, অনেকেই বছরের পর বছর কারাবরণ করছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনি বন্দির সংখ্যা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্প্রতি দুই বন্দির মৃত্যুর পর ইসরাইলি কারাগারে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছে দুটি ফিলিস্তিনি পর্যবেক্ষণ সংস্থা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মিডল ইস্ট আই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ফিলিস্তিনি বন্দি বিষয়ক সাবেক মন্ত্রণালয় এবং ফিলিস্তিনি বন্দি সমিতি যৌথভাবে সামিহ সুলেমান মুহাম্মদ আলীউই (৬১) এবং আনোয়ার শাবান মুহাম্মদ আসলিম (৪৪) এর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে।
আলীউই নাবলুসের বাসিন্দা এবং হামাস নেতা ছিলেন। তিনি অসুস্থ হয়ে আয়লোন (রামলা) কারাগারের ক্লিনিক থেকে শামির মেডিকেল সেন্টারে (আসাফ হারোফেহ) স্থানান্তরিত হওয়ার ছয় দিন পর ৬ নভেম্বর মারা যান। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং ইসরাইলি কারা প্রশাসন তার মৃত্যুর বিবরণ প্রকাশে বিলম্ব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
আলীউই গত বছরের ২১ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের কারাগারে প্রশাসনিক আটক ছিলেন, যদিও তার একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আগেই সাবধান করেছিলেন। টিউমারের কারণে একাধিক অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।
অপর নিহত বন্দি আনোয়ার শাবান মুহাম্মদ আসলিম, যিনি গাজার চার সন্তানের জনক ছিলেন, তাকে গ্রেপ্তারের আগে কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
দুটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, আলীউই এবং আসলিম ইসরাইলি কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন, চিকিৎসা অবহেলা এবং জোরপূর্বক অনাহারের শিকার ছিলেন। তারা ইসরাইলকে সম্পূর্ণভাবে এই দুই বন্দির মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে।
বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বন্দিদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়ে গেছে, বিশেষত অসুস্থ এবং আহত বন্দিদের জন্য পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। এর ফলে বন্দিদের মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
What's Your Reaction?