ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দেড় মাসে ২৫টি দোকানে চুরি: ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে গত দেড় মাসে ২৫টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যবসায়ীদের ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চুরি হওয়া ঘটনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন।
পর্যায়ক্রমে চুরির ঘটনা
১ম ধাপে, ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে হ্যাপি ইলেকট্রিক, চৈতি ইলেকট্রিক, স্মৃতি এন্টারপ্রাইজসহ ৪টি দোকানে চুরি হয়।
২য় ধাপে, ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে আল মদিনা হোটেল, বিশ্বকর্মা হার্ডওয়্যার, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর এবং জাকির মিয়ার সেলুনসহ ৪টি দোকানে চুরি হয়।
৩য় ধাপে, ৭ অক্টোবর রাতে চাউরা হোমিও হল, বন্ধু মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার, মা বস্ত্রালয়, তৃপ্তি মেডিকেল হলসহ মোট ৭টি দোকানের মালামাল চুরি হয়।
৪র্থ ধাপে, ৮ নভেম্বর রাতে মোহাম্মদ নুর মিয়ার চাউলের মেইল, সোহেল মিয়ার চাউলের দোকান, তুষার মিয়ার সাইকেল মেকানিক্যাল দোকানসহ ৬টি দোকানে চুরি হয়।
৫ম ধাপে, ১৩ নভেম্বর রাতে আজমেরী সুপার স্টোর, থ্রি স্টার মোটরস, এবং মজুমদার মেডিকেল হলের ৩টি দোকানে চুরি হয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ
সিঙ্গারবিল বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা প্রতিদিন পাহারাদারদের চাঁদা দেওয়ার পরও চুরির ঘটনা থামছে না। বিষয়টি বাজার কমিটিকে জানালেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছেন এবং দোকানে মালামাল রাখতেও ভয় পাচ্ছেন।
তারা অভিযোগ করেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চুরির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
পাহারাদার ও বাজার কমিটির বক্তব্য
সিঙ্গারবিল বাজারের পাহারাদার সেন্টু মিয়া বলেন, "আমরা চারজন মিলে বাজার পাহারা দিই। তবে চুরি সাধারণত দোকানের পেছনের দিক দিয়ে হয়। সেখানে কোনো রাস্তা না থাকায় এবং শব্দ না পাওয়ায় আমরা চুরির ঘটনা বুঝতে পারি না।"
বাজারের সাবেক সভাপতি আবুল ফায়েজ জানান, "পাহারাদাররা বলেছে যে পেছনের দিক দিয়ে চুরি হচ্ছে। আমি দোকানদারদের থানায় অভিযোগ করতে বলেছি।"
পুলিশের অবস্থান
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশান আলী জানান, "আমি যোগদানের পর থেকে বাজার পাহারাদারদের নজরদারি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পুলিশের টহল টিমকেও আরো সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
ব্যবসায়ীরা এ পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান দাবি করছেন।