ভারতে স্যাটেলাইট তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে
ভারতে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবার (স্যাটেলাইট) তরঙ্গ বরাদ্দের ধরন নিয়ে জটিলতা কাটছে না। এবার তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)।
ভারতে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবার (স্যাটেলাইট) তরঙ্গ বরাদ্দের ধরন নিয়ে জটিলতা কাটছে না। এবার তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)।
বিষয়টি হলো এই তরঙ্গ কি নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ হবে নাকি সরাসরি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বরাদ্দ হবে, তা নিয়ে ইলন মাস্কের সঙ্গে মতভেদ আছে ভারতের মুকেশ আম্বানি ও সুনীল মিত্তালদের। সেই আবহে তরঙ্গ কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার সময়সীমা সাত দিন বাড়িয়ে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, এই পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে ১ নভেম্বর পর্যন্ত মন্তব্য করা যাবে।
ভারতে মাস্কের গাড়ি কোম্পানি টেসলার কারখানা নির্মাণে জোর চেষ্টা করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্যাটেলাইট তরঙ্গের নিলামে মাস্কের কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। ফলে ভারতের সঙ্গে ইলন মাস্কের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরিতে এই স্যাটেলাইটের তরঙ্গ বরাদ্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
এই পরিস্থিতিতে তরঙ্গ বরাদ্দের মেয়াদ কমিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমিউনিকেশন কমিশনের সদস্য মনীশ সিনহা। তিনি বলেন, তরঙ্গ যেভাবেই দেওয়া হোক না কেন, তা যেন ২০ বা ৩০ বছরের মেয়াদে দেওয়া না হয়, বরং ৫-১০ বছরের মেয়াদে তা দেওয়া হোক। তাঁর মতে, এত দীর্ঘ সময়ের জন্য তরঙ্গ দেওয়া হলে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন কমে যায়, তেমনি কোম্পানিগুলোও এই তরঙ্গ পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারে না।
২০১০ সালের তরঙ্গের নিলামে ভারত সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ১ লাখ কোটি রুপি। ১০ বছর পরে আবার নিলাম হলে আরও কয়েক গুণ বেশি অর্থ আসত বলে মনে করেন মনীশ।
সাধারণত দুভাবে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক তরঙ্গ বণ্টন করা হয়। নিলামের মাধ্যমে অথবা সরাসরি বরাদ্দের মাধ্যমে। ভারতের জিয়ো, ভোডাফোন আইডিয়া, এয়ারটেল নিলামের পক্ষে। অন্যদিকে ইলন মাস্কের স্টারলিংক ও কুইপারের মতো কোম্পানি চায়, তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হোক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে স্টারলিংকের কর্ণধার ইলন মাস্ক প্রশ্ন করেন, ভারতে তাঁর কোম্পানি পরিষেবা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়বে কি না? এ প্রসঙ্গে ভারতের টেলিকমমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, সারা বিশ্বের মতো ভারতেও বণ্টন করা হবে স্যাটেলাইট তরঙ্গ—দর ও সূত্র নির্ধারণ করবে টেলি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই।
What's Your Reaction?