মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এলাকামুখী, যে সতর্ক বার্তা বিএনপির

নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা না এলেও বিএনপি বসে নেই। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতিবাচক রাজনীতির বার্তা নিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা এখন এলাকামুখী। তারা সারা দেশে নির্বাচনি এলাকার ভিত্তিতে সাংগঠনিক কর্মসূচি চালাচ্ছেন এবং দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, প্রতিশ্রুতি এবং ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়গুলো প্রচার করছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন সামাজিক অনুষ্ঠানে, অনেক এলাকায় একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা জনকল্যাণমূলক কাজে মেতে উঠেছেন।

Nov 16, 2024 - 08:51
 0  2
মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এলাকামুখী, যে সতর্ক বার্তা বিএনপির

নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা না এলেও বিএনপি বসে নেই। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতিবাচক রাজনীতির বার্তা নিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা এখন এলাকামুখী। তারা সারা দেশে নির্বাচনি এলাকার ভিত্তিতে সাংগঠনিক কর্মসূচি চালাচ্ছেন এবং দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, প্রতিশ্রুতি এবং ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়গুলো প্রচার করছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন সামাজিক অনুষ্ঠানে, অনেক এলাকায় একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা জনকল্যাণমূলক কাজে মেতে উঠেছেন।

এতে শুরু হয়েছে কিছু এলাকায় গ্রুপিং এবং নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব। কয়েকটি অঞ্চলে নেতাদের অনুসারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে, বিএনপির কেন্দ্র থেকে এখনই নির্বাচনি প্রচার চালাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং দলীয় ব্যানার-পোস্টার সরানোর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। নেতারা বলছেন, তবে প্রতিটি এলাকায় নির্বাচনি আবহ তৈরি হয়েছে এবং জনগণ এখন ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, বিশেষত গত তিনটি নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারেননি।

নীতিনির্ধারণী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা নির্বাচনের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি নিতে চান, তবে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, সাধারণ মানুষের মন জয় করতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে। তারা তৃণমূল কর্মীদের সমস্যা নিয়ে জনগণের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি করছেন এবং নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘বিএনপির নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি সবসময়ই ছিল এবং এখনও রয়েছে। ১৬ বছরের আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনি প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে।’’

দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘‘বিএনপির ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং ৩১ দফা সংস্কারের বার্তা জনগণ গ্রহণ করছে। নির্বাচনের জন্য জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে, কারণ তারা একটি নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়।’’

এলাকা ভিত্তিক নেতারা, যেমন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ এবং গাজীপুর-১ আসনের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে দলের আদর্শ এবং ৩১ দফা সংস্কারের বিষয়গুলো তুলে ধরছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতি এবং পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে জনগণের কাছে পৌঁছাচ্ছে, যা দলের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি করবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বিএনপির মতো বড় দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, তবে সেটি নেতিবাচকভাবে দেখার কোনো কারণ নেই। দীর্ঘ সময় ধরে দলের নেতাকর্মীরা সংগ্রাম করেছেন এবং নতুন নেতৃত্বও উঠে আসবে।’

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow