মনোবিদের কাছে যাচ্ছেন আমির, কারণ কী?
বলিউড অভিনেতা আমির খানের কন্যা ইরা খান গত পাঁচ বছর ধরে অবসাদের সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি আট থেকে দশ মাস পর তার অবস্থা ভয়াবহভাবে খারাপ হয়ে যায়। ইরা তার মানসিক অবসাদের জন্য বাবা আমির খান ও মা রীনা দত্ত'র বিবাহবিচ্ছেদকে দায়ী করেছেন। তার ধারণা, মানসিক অবসাদ তাদের পরিবারে একটি প্রবণতা হিসেবে বিদ্যমান। তবে, বিয়ের পর ইরা আগের থেকে অনেক ভালো আছেন। তিনি আরও বলেন, বাবা আমিরকেও মনোবিদের কাছে নিয়ে গিয়েছেন এবং এতে তারা দুজনেই উপকৃত হয়েছেন।
বলিউড অভিনেতা আমির খানের কন্যা ইরা খান গত পাঁচ বছর ধরে অবসাদের সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি আট থেকে দশ মাস পর তার অবস্থা ভয়াবহভাবে খারাপ হয়ে যায়। ইরা তার মানসিক অবসাদের জন্য বাবা আমির খান ও মা রীনা দত্ত'র বিবাহবিচ্ছেদকে দায়ী করেছেন। তার ধারণা, মানসিক অবসাদ তাদের পরিবারে একটি প্রবণতা হিসেবে বিদ্যমান। তবে, বিয়ের পর ইরা আগের থেকে অনেক ভালো আছেন। তিনি আরও বলেন, বাবা আমিরকেও মনোবিদের কাছে নিয়ে গিয়েছেন এবং এতে তারা দুজনেই উপকৃত হয়েছেন।
সম্প্রতি, ইরা খান এবং তার বাবা-মা মিলে অগস্ত্য ফাউন্ডেশন স্থাপন করেছেন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হল, মানসিক সমস্যায় ভুগছে এমন মানুষের সাহায্য করা। তবে, ইরা নিজের চিকিৎসা বন্ধ করেননি। তিনি জানান, বাবা-মেয়ে একসঙ্গে মনোবিদের কাছে যাওয়ার কারণে তাদের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।
অন্যদিকে, পেশাগত জীবনেও আমির খান সম্প্রতি একের পর এক ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কিছুদিনের জন্য অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। তবে তার সন্তানদের অনুরোধে তিনি সেই সিদ্ধান্ত বদলেছেন। কিন্তু আমির জানিয়েছেন, এই সময়টা তার জন্য খুব সহজ নয়। তিনি নিজে স্বীকার করেছেন যে, মাঝে মাঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে এবং সে কারণে তাকে মনোবিদের সহায়তা প্রয়োজন।
আমির বলেন, “থেরাপি আসলে খুব শক্তিশালী একটি জিনিস। আমি ভাবতাম আমি যথেষ্ট বুদ্ধিমান, সব সিদ্ধান্ত আমি নিজেই নিতে পারি। কিন্তু তা নয়, আমারও সহায়তার প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “ভারতে মানসিক সমস্যা নিয়ে এখনও অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে, অনেকেই এই সমস্যাকে পাগলামি ভাবেন। আমি বলতে চাই, আমি নিজেও মানসিক সমস্যায় ভুগি। আমি চাই অন্যরা জানুক, যদি কারো এমন সমস্যা থাকে, তাহলে তারা সাহায্য নিক। এতে তারা উপকৃত হবেন।”
What's Your Reaction?