র‍্যাঙ্কিং থেকে সাকিবের নাম সরিয়ে দিল আইসিসি

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রতি বুধবার ক্রিকেট দল ও খেলোয়াড়দের র‍্যাঙ্কিং হালনাগাদ করে থাকে। সম্প্রতি সংস্থাটি র‍্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে যেমন র‍্যাঙ্কিংয়ের ধারাবাহিকতা ছিল সাকিব আল হাসানের, তেমনি তিনি ছিলেন অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।

Nov 21, 2024 - 03:35
 0  1
র‍্যাঙ্কিং থেকে সাকিবের নাম সরিয়ে দিল আইসিসি

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রতি বুধবার ক্রিকেট দল ও খেলোয়াড়দের র‍্যাঙ্কিং হালনাগাদ করে থাকে। সম্প্রতি সংস্থাটি র‍্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে যেমন র‍্যাঙ্কিংয়ের ধারাবাহিকতা ছিল সাকিব আল হাসানের, তেমনি তিনি ছিলেন অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।

আলাদাভাবে ব্যাটিং ও বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে যেসব খেলোয়াড় থাকতেন, সাকিব আল হাসানের নাম সপ্তাহ শেষে সবসময় অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকত। এমনকি কয়েক সপ্তাহ বা মাস নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর স্থানটি ছিল তার।

কিন্তু এখন আর সাকিবের নাম ওই র‍্যাঙ্কিংগুলোতে নেই। বর্তমানে আইসিসির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের নাম দেখা যাচ্ছে না।

ভারতে বসে সাকিব টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান, তবে নিজের ঘরেই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা ছিল তার। গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে সাকিব শেষ টেস্ট খেলতে চাইলেও কিছু কারণে সেটা আর হয়নি। তবে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে তার নাম এখনো রয়েছে। অন্যদিকে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে সাকিব নেই, যদিও দীর্ঘদিন তিনি এই দুই সংস্করণে অলরাউন্ডার হিসেবে শীর্ষে ছিলেন।

সাধারণত, একজন ক্রিকেটার তার পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে র‍্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পান এবং শীর্ষে উঠে আসেন, আবার খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে পেছাতে পেছাতে তলানিতেও চলে যেতে পারেন। কিন্তু সাকিবের নাম এখন ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে নেই, যা স্পষ্টতই তার বাদ পড়ার ইঙ্গিত দেয়।

আইসিসি র‍্যাঙ্কিং থেকে একজন খেলোয়াড় বাদ পড়তে পারেন প্রধানত তিন কারণে। প্রথমত, নিষেধাজ্ঞা বা বহিষ্কার। যেমন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে সাকিবকে দুই বছরের (এক বছর স্থগিত) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আইসিসি, যখন তিনি একটি জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করেছিলেন। সেই সময় র‍্যাঙ্কিং থেকে সাকিবের নাম বাদ পড়েছিল, তবে তার পর আর কখনো র‍্যাঙ্কিং থেকে তাকে বাদ পড়তে হয়নি।

বর্তমানে সাকিবের নাম শুধু টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে আছে। সাকিব সর্বশেষ খেলেছেন টেস্ট ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের বিপক্ষে কানপুরে। এরপর বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে, এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। এসব সিরিজে সাকিব ছিলেন না, ফলে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে তার নাম নেই।

র‍্যাঙ্কিং থেকে বাদ পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে অবসর গ্রহণ। সাকিব সেপ্টেম্বর মাসে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তিনি জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই সংস্করণ থেকে বিদায় নিয়েছেন। এর ফলে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিং থেকে সাকিবের নাম কাটা পড়েছে।

তবে সাকিব ওয়ানডে থেকে অবসর নেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ৫০ ওভার ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত থাকার কারণে তার নাম ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিং থেকেও বাদ পড়েছে।

র‍্যাঙ্কিংয়ের মূল নীতি হলো বর্তমানে কোন খেলোয়াড় কেমন পারফর্ম করছেন, সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। টেস্টে র‍্যাঙ্কিং নির্ধারণে ১২-১৫ মাসের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়, আর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য তা ৯-১২ মাস। সাকিব সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন। এক বছর সময় পার হওয়ায়, র‍্যাঙ্কিং থেকে তার নাম বাদ পড়েছে, যদিও শেষবার ১ নম্বরেই ছিলেন তিনি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow