সোলেইমানি হত্যার বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার তেহরানের
কোনো গোপন পরিকল্পনার মাধ্যমে নয়, আইনী ও বিচারের মাধ্যমে প্রয়াত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে চায় ইরান। জাতিসংঘে দেশটির কূটনৈতিক মিশন এই কথা জানিয়েছে।
কোনো গোপন পরিকল্পনার মাধ্যমে নয়, আইনী ও বিচারের মাধ্যমে প্রয়াত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে চায় ইরান। জাতিসংঘে দেশটির কূটনৈতিক মিশন এই কথা জানিয়েছে।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি নির্দেশে, মার্কিন সামরিক বাহিনী বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করে।
মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, ইরান ৫ নভেম্বর নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছিল প্রতিশোধ হিসেবে সোলেইমানি হত্যার বদলা নিতে। এর মধ্যে, কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে আবারও ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে ফিরে আসছেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে দুটি মামলা চলছে, যেখানে অভিযুক্তরা ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন ফরহাদ শাকেরি, যিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সদস্য। তিনি তদন্তকারী দলের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তাকে সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হত্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এসব অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে অস্বীকার করেছেন এবং একে "তৃতীয় শ্রেণির কমেডি নাটক" বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরান এ বিষয়ে সেপ্টেম্বরেই এক লিখিত আশ্বাস দিয়েছে যে, তাদের কোনো গোপন পরিকল্পনা নেই এবং তারা আন্তর্জাতিক আইনের সম্মান ও শৃঙ্খলা অনুসরণ করে সোলেইমানি হত্যার বিচার চালিয়ে যাবে।
ইরান ও ইরাক বারবার বলেছে, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় অপরাধী, সংগঠক এবং হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি করা তাদের বৈধ অধিকার। তারা এই আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
এদিকে, মার্কিন প্রশাসনকে আশ্বস্ত করলেও, সোলেইমানি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে ইরান তাদের আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। তবে এই প্রক্রিয়া কীভাবে বাস্তবায়িত হবে বা কোনো আইনি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তথ্যসূত্র: মেহর নিউজ
What's Your Reaction?