আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে গায়েবি মামলার আসামি এবি পার্টির নেতা
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নাশকতার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার পেকুয়া-কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি এবং এবি পার্টির নেতা গিয়াস উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নাশকতার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার পেকুয়া-কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি এবং এবি পার্টির নেতা গিয়াস উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর চকরিয়া থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রুজু হয়, যেখানে গিয়াস উদ্দিনকে এজাহারে ৪৮ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গিয়াস উদ্দিন, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) পেকুয়া উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার পেকুয়া-কুতুবদিয়া প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ দুই দশক ধরে সাংবাদিকতা করছেন।
মামলায় আসামি হওয়ার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে, ১৩ নভেম্বর চকরিয়া থানায় দায়ের করা এই মিথ্যা মামলায় তাকে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ফাঁসানো হয়েছে। একে তিনি ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন। পরবর্তী স্ট্যাটাসে তিনি আরও জানান, মামলার পেছনে যারা রয়েছেন, তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার পালাকাটা রাস্তার মাথা এলাকায় গত ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি রুজু করেন চকরিয়া পৌরসভার নিজপানখালী গ্রামের সিরাজ আহমদের ছেলে ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমির আলী।
মামলায় কক্সবাজার-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমসহ ১৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এবং অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া জানান, মহাসড়কে ইজিবাইক ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার কারণে মামলাটি রুজু করা হয়। তবে তিনি জানিয়েছেন, এজাহারে কারা আসামি হয়েছেন তা তিনি জানেন না।
বিষয়টি সম্পর্কে বাদী আমির আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি মোবাইল ফোনে বলেছিলেন, জরুরি কাজে ব্যস্ত আছেন এবং ফোন কেটে দেন।
What's Your Reaction?