আলুর দাম বৃদ্ধির পেছনে দুটি মূল কারণ
টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হিমাগারে সংরক্ষিত আলু খুচরা বাজারে চড়া দামে বিক্রি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রোববার উপজেলার হিমাগারগুলোতে ৫০ কেজি বস্তা আলু বিক্রি হয়েছে ২,৩০০ টাকায়, অর্থাৎ প্রতি কেজি আলুর দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা। খুচরা বাজারে এই আলু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টঙ্গীবাড়িতে মজুদকৃত আলু চড়া দামে বিক্রি, বিপাকে সাধারণ মানুষ
টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হিমাগারে সংরক্ষিত আলু খুচরা বাজারে চড়া দামে বিক্রি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রোববার উপজেলার হিমাগারগুলোতে ৫০ কেজি বস্তা আলু বিক্রি হয়েছে ২,৩০০ টাকায়, অর্থাৎ প্রতি কেজি আলুর দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা। খুচরা বাজারে এই আলু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের মতে, ভারত থেকে আলু আমদানি বন্ধ ও দেশীয় আলুর সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। সরবরাহ সংকটের কারণে কাঁচামাল বাজারে কিছুটা বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে, এতে সাধারণ ক্রেতারা আরও বেশি দাম পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন। কিছু পাইকারি ব্যবসায়ী হিমাগার থেকে আলু কিনে খুচরা বাজারে বেশি লাভের জন্য বাড়তি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ উপজেলায় ৯,০১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল। বর্তমানে ২৪টি হিমাগারে ২৭,৬৫২ মেট্রিক টন বীজ আলু ও ৩৬,১০৮ মেট্রিক টন খাবার আলু মজুদ রয়েছে। ইউনুছ কোল্ড স্টোর ম্যানেজার মো. আহসান-উল রাব্বি জানান, তাদের হিমাগারে ৫০ কেজি আলু সংরক্ষণে ভাড়া ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং কৃষকরা ৯ মাসের জন্য আলু মজুত রাখতে পারেন। এই হিমাগারে ৩০ হাজার বস্তা বীজ আলু ও ২৮ হাজার বস্তা খাবার আলু মজুদ আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জয়নুল আলম তালুকদার বলেন, "আলুর পাশাপাশি অন্যান্য সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, যা দাম স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা রাখবে।" উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসলাম হোসাইন জানান, "হাটবাজারে নিয়মিত মনিটরিং চলছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
What's Your Reaction?