নেত্রকোনার দুই সাংবাদিককে জিম্মির পর মারধর করে মুক্তিপণ আদায়

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে এবং বেধড়ক মারধর করে মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

Nov 23, 2024 - 05:46
 0  2
নেত্রকোনার দুই সাংবাদিককে জিম্মির পর মারধর করে মুক্তিপণ আদায়

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে এবং বেধড়ক মারধর করে মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক আমাদের সময়ের কেন্দুয়া উপজেলা প্রতিনিধি রাখাল বিশ্বাস ও দৈনিক স্বদেশ সংবাদের একই উপজেলার প্রতিনিধি রোকন উদ্দিন।

তারা জানান, গত দুই দিন ধরে উত্তরার একটি এনজিও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ফিরছিলেন। বিমানবন্দরের সামনে ময়মনসিংহগামী বাসে ওঠার জন্য অপেক্ষা করার সময় একটি মাইক্রোবাস এসে তাদের সামনে থামে। মাইক্রোবাসের চালক ও এক যাত্রী তাদের জানান, তারা মাইক্রোবাসে ময়মনসিংহ যাচ্ছেন এবং টাকার বিনিময়ে তাদেরও সেখানে নেওয়া হবে। তাদের কথায় বিশ্বাস করে দুই সাংবাদিক মাইক্রোবাসে ওঠেন।

গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীবেশী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে, মোবাইল, স্বর্ণের আংটি এবং প্রায় ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাদের চোখ ও হাত বেঁধে বেধড়ক মারধর করে, এবং বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য পরিবারের কাছে চাপ দেয়। জীবন বাঁচাতে তারা স্বজনদের কাছে ফোন করে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানান। এর পরে, তাদের পরিবারের সদস্যরা কয়েক দফায় এক লাখ টাকা পাঠান।

রাত ৯টার দিকে, সন্ত্রাসীরা তাদের রাস্তায় ফেলে দিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে চলে যায়। আহত দুই সাংবাদিক এরপর হোতাপাড়ার কাছাকাছি সেনা ছাউনির সদস্যদের সাহায্যে ময়মনসিংহ ফেরেন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

বর্তমানে তারা নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাংবাদিক রাখাল বিশ্বাস জানান, "বেধড়ক মারধরের পর আমাদের টাকা, পয়সা কেড়ে নেয়। বাড়ি থেকে ফোন করে হত্যার হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নেয়। পরে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। আমি এবং রোকন উদ্দিন কিছুটা সুস্থ হলেও মারধরের ব্যথায় এখনও কষ্ট পাচ্ছি।"

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow