পুতিন বলেছেন, “আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। যেকোনো সময় এগুলো ব্যবহার করা হতে পারে। আমরা যে অস্ত্র মজুত রেখেছি, তা কোনোভাবেই আটকানো যাবে না এবং এটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।”
এছাড়া তিনি ‘ওরেশনিক’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
ইউক্রেন সম্প্রতি মার্কিন সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে। এর পরই, বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনের নিপ্রো এলাকায় নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিপ্রোতে হওয়া হামলাটি অস্বাভাবিক ছিল এবং এর ফলে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তা তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে থাকে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই হামলা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তারা ধারণা করছেন এটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে।
এদিকে, রাশিয়ার সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ অন্যান্য গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে বসতে কিছু শর্ত রেখেছেন পুতিন। তার মধ্যে রয়েছে, রাশিয়া দখল করা ইউক্রেনের অঞ্চলগুলো নিয়ে বড় কোনো ছাড় না দেওয়া এবং কিয়েভের পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ত্যাগ করার বিষয়।
তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কোনো চুক্তি হলে, ক্রেমলিন ইউক্রেনে চলমান সম্মুখসারির যুদ্ধ বন্ধে রাজি হতে পারে। পাশাপাশি, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া এবং খেরসন অঞ্চল নিয়ে আলোচনা করারও সুযোগ রাখা হতে পারে।