পুরাকীর্তি ঘোষণা সংক্রান্ত সাব কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত
রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির শতবর্ষী বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করতে একটি সাবকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির শতবর্ষী বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করতে একটি সাবকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় প্রধান বিচারপতির বাসভবন নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশনও প্রদর্শন করা হয়।
সভায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ১০ অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে সুপ্রিমকোর্ট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন এ স্থাপনাটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তার উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ভবনটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা এবং সংরক্ষণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলমও উপস্থিত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৬ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেয়। এর পর, ৯ অক্টোবর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমিরুজ্জামান অধিদপ্তরের ঢাকা ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পরিচালককে বাসভবনটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ভবনটির ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলী তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ঢাকাকে পূর্ববঙ্গ ও আসামের রাজধানী করার পর উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যেসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল, সেগুলোর একটি হচ্ছে হেয়ার রোডের প্রধান বিচারপতির বাসভবন। মোগল ও ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণে ১৯০৮ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর ভবনটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও পঞ্চাশের দশক থেকে এটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুরাকীর্তি আইন, ১৯৬৮ অনুযায়ী ভবনটির মালিকানা ও ব্যবহার স্বত্ব সুপ্রিমকোর্টের অনুকূলে রেখে সংরক্ষণ করা হলে তা জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
What's Your Reaction?