দূতাবাসের নিরাপত্তা, ভিয়েনা কনভেনশনে কী আছে?
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে। এই হামলার ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনও ভিয়েনা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে। এই হামলার ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনও ভিয়েনা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাকে ডেকে নিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, এটি ‘পরিকল্পিত’ হামলা ছিল, এবং হামলার সময় ভারতীয় পুলিশ তা থামানোর পরিবর্তে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
হামলার পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, ভারত হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে, ভারত তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে এবং হামলায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগরতলায় বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ভারত সরকারের। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এটি ভিয়েনা কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কোনো দেশের কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব গ্রহীতা দেশের, এবং এতে কোনো হামলা বা ক্ষতির ঘটনা ঘটলে তা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হয়।
ভারতও এ ঘটনার পর সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা পরবর্তী সময়ে আর না ঘটানোর জন্য বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
What's Your Reaction?