ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যত কি?
ভারত-পাকিস্তান। ক্রিকেটে বিশ্বের দাপুটে দুই দল। কিন্তু ২২ গজের সবুজ গালিচা ধূসর হয় দুই দেশের তিক্ত সম্পর্কে। রাজনৈতিক সম্পর্কের বৈরিতা ছাপিয়ে যায় খেলাকেও। তাই পাকিস্তানে কোন টুর্নামেন্ট হলেই প্রশ্ন আসে ভারত যাবে তো খেলতে?
ভারত-পাকিস্তান। ক্রিকেটে বিশ্বের দাপুটে দুই দল। কিন্তু ২২ গজের সবুজ গালিচা ধূসর হয় দুই দেশের তিক্ত সম্পর্কে। রাজনৈতিক সম্পর্কের বৈরিতা ছাপিয়ে যায় খেলাকেও। তাই পাকিস্তানে কোন টুর্নামেন্ট হলেই প্রশ্ন আসে ভারত যাবে তো খেলতে?
যে প্রশ্নের চোরাবালিতে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানে কি টুর্নামেন্ট হবে? ভারত এরমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে তারা খেলতে যাবে না। প্রস্তাব দিয়েছে হাইব্রিড মডেলের। পোষাকি নাম বদলে হয়েছে পার্টনারশিপ মডেল। মানে এরপর আইসিসির যে কোন ইভেন্টে ভারত-পাকিস্তান তাদের ম্যাচগুলো খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
অবশ্য সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছে পাকিস্তান। এমন খবর গণমাধ্যমে এলেও ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। এরমধ্যে ১ ডিসেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব নিয়েছেন জয় শাহ। তার নেতৃত্বে ৫ ডিসেম্বর দুবাই তে বসতে যাচ্ছে আইসিসির বোর্ড সভা। সেখান থেকে সম্ভাবনা আছে সিদ্ধান্ত আসার।
তবে সেই সভার আগে আইসিসির গোয়েন্দা তথ্য নতুন শঙ্কা জাগাচ্ছে পাকিস্তানের জন্য। ইন্টেলিজেন্স পাকিস্তানের তিনটি বিষয় সামনে আনছে। বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুম মিলিটারি আক্রমন, পিটিআই ও জামাতের দেশব্যাপি প্রতিরোধ ও চার বছর পর ইউরোপে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা।
এসব মাথায় রেখে, নিরাপত্তা হুমকি ও সিভিল আনরেস্ট ক্যাটাগরিতে পাকিস্তানকে হাই বা উচ্চ ঝুঁকিতে রেখেছে তারা। যার মানে দাঁড়ায় শুধু ভারত নয় পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া যেকোন দেশের জন্যই হুমকি।
তাই তো পুরো টুর্নামেন্টেই সরে যেতে পারে পাকিস্তান থেকে। আর ভারতের দাবি তাদের দেশ যেহেতু নিরাপদ, তাই আয়োজক হিসেবে তারা কোন ভাগ ভবিষ্যতে দিতে চায় না।
আইসিসির সেই গোয়েন্দা রিপোর্টে এসেছে আগরতলা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা প্রসঙ্গ। তাই বাংলাদেশে কোন ম্যাচ আয়োজনও তাই দু:স্বপ্ন।
এমন আবস্থায় কি করবে আইসিসি? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্যের লিখন কিভাবে খন্ডিত হয় তা দেখতেই চোখ রাখতে হবে দুবাইতে।
What's Your Reaction?