গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা, অ্যামনেস্টির নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল, নতুন এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করেছে লন্ডনভিত্তিক খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একইসঙ্গে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জেগে উঠার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল, নতুন এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করেছে লন্ডনভিত্তিক খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একইসঙ্গে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জেগে উঠার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
লন্ডন-ভিত্তিক অধিকার সংস্থা বলেছে, স্যাটেলাইট চিত্র, ফিল্ডওয়ার্ক এবং গাজা থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে ইসরাইলি সরকার এবং সামরিক কর্মকর্তাদের অমানবিক চিত্র উঠে এসেছে।
এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টির প্রধান অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, আমাদের কাছে আসা জঘন্য ফলাফলগুলো অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি জেগে উঠার চিহ্ন হিসাবে কাজ করবে। গাজায় যা হচ্ছে এটি গণহত্যা। এটা এখনই বন্ধ করতে হবে।
মানবাধিকার গোষ্ঠী বলেছে, ইসরাইল গাজায় মারাত্মক হামলা চালিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করেছে এবং গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য সহায়তা সরবরাহে বাধা দিচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের দায় দিয়ে ইসরাইলের এই পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করা যায় না।
২৯৬-পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের উপর বিভিন্ন ধরণের চাপ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। তবে অ্যামনেস্টি গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসকে চাপ দেওয়ার কোনো সুপারিশ করেনি।
এদিকে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, দুঃখজনক ও ধর্মান্ধ সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আবারও একটি বানোয়াট প্রতিবেদন তৈরি করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মিথ্যার উপর ভিত্তি করে।
এর আগে গত নভেম্বরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাস নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এ নিয়ে আইসিসির বিচারকরা বলেছেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ ও ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের পেছনে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট দায়ী বলে বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
What's Your Reaction?