সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হোমস দখল, বিনা বাধায় দামেস্কে প্রবেশ
সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমস দখলের দাবি করেছে। এই ঘটনা বিশ্লেষকদের মতে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনকে আরো ত্বরান্বিত করছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমস বিদ্রোহীদের দখলে, আসাদ সরকারের পতন সন্নিকটে
সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমস দখলের দাবি করেছে। এই ঘটনা বিশ্লেষকদের মতে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনকে আরো ত্বরান্বিত করছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিদ্রোহীদের ঘোষণা
ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) জানিয়েছে, তারা সিরিয়ান সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সফল আক্রমণ চালিয়ে হোমস শহরটি দখল করেছে। বিদ্রোহীদের দাবি, এটি সিরিয়ার জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।
এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারা বলেন, "হোমসের দখল সত্য ও মিথ্যার মধ্যে একটি পরিষ্কার পার্থক্য তৈরি করবে।"
শহরে উল্লাস
হোমস শহর থেকে সরকারি সেনাবাহিনীর সরে যাওয়ার পর হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা উল্লাস করে স্লোগান দেয়, "আসাদ শেষ, হোমস মুক্ত" এবং "সিরিয়া দীর্ঘজীবী হোক, আসাদ নিপাত যাক"। বিদ্রোহীরা আকাশে গুলি ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে। তরুণেরা বাশার আল-আসাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে।
আসাদের দেশত্যাগ
ফ্রান্স টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের অগ্রগতির মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রোববার একটি উড়োজাহাজে চড়ে দামেস্ক ছেড়েছেন। তার গন্তব্য সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
রয়টার্সের সূত্রমতে, বিদ্রোহীরা সেনা প্রতিরোধ ছাড়াই রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করেছে। হাজার হাজার মানুষ গাড়ি ও পায়ে হেঁটে রাজধানীর প্রধান চত্বরে জড়ো হয়ে স্বাধীনতার স্লোগান দিচ্ছে।
সাইদনায়া কারাগার মুক্ত
বিদ্রোহীরা রাজধানীর উত্তরে কুখ্যাত সাইদনায়া সামরিক কারাগারে প্রবেশ করেছে এবং সেখান থেকে বন্দিদের মুক্ত করেছে। এই কারাগারে বাশার সরকারের বিরোধীদের বন্দি রাখা হতো।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত
সরকারপন্থি শাম এফএম রেডিও জানিয়েছে, দামেস্ক বিমানবন্দর খালি করা হয়েছে এবং সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সরকারি বাহিনী রাজধানী থেকে সরে গেছে এবং বাসিন্দারা শহরে গুলির শব্দ শুনেছেন।
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের এই অগ্রগতি দেশটির রাজনীতিতে এক নতুন মোড় আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
What's Your Reaction?