নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছেন বিএনপির ৩ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা করে স্মারকলিপি প্রদান করবে বিএনপির তিনটি সংগঠন।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা করে স্মারকলিপি প্রদান করবে বিএনপির তিনটি সংগঠন।
পদযাত্রায় অংশ নিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতারা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে জমায়েত শুরু করেছেন। রোববার সকাল ৯টার পর থেকেই নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে আসতে থাকেন, এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে তারা নয়াপল্টনে পৌঁছান। এ সময় তারা ভারত বয়কটের স্লোগান দেন। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়েছেন।
শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনটি সংগঠনের নেতারা আজকের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি ভারতের আগরতলার এপারে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত হতে পারে, এবং ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) লংমার্চের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির নেতারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে রাতে ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন। তারা জানান, লংমার্চের চূড়ান্ত তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কারণে তারা এর আগেই লংমার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আজকের পদযাত্রা ও স্মারকলিপি সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যৌথ উদ্যোগে আজ নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি শুরু হবে।
What's Your Reaction?