সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশায় ফ্লাইট ওঠানামা বিঘ্ন
রাত থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে নীলফামারী। দূর থেকে মনে হচ্ছে যেন অঝোরে বৃষ্টি ঝরছে, তবে বাস্তবে কুয়াশার সঙ্গে কিছুটা বৃষ্টির অনুভূতি রয়েছে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে কুয়াশা এবং মেঘের আধিপত্য আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কম থাকায় নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সকাল থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করেছে, যার ফলে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
রাত থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে নীলফামারী। দূর থেকে মনে হচ্ছে যেন অঝোরে বৃষ্টি ঝরছে, তবে বাস্তবে কুয়াশার সঙ্গে কিছুটা বৃষ্টির অনুভূতি রয়েছে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে কুয়াশা এবং মেঘের আধিপত্য আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কম থাকায় নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সকাল থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করেছে, যার ফলে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করেনি। শিডিউল অনুযায়ী সকাল সোয়া ৭টায় একটি ফ্লাইট অবতরণ করার কথা ছিল, এবং সোয়া ৮টায় বেসরকারি কোম্পানির এয়ার অ্যাস্টা ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করার কথা ছিল। তবে ঘন কুয়াশার কারণে এই ফ্লাইটটি কার্যত আটকা পড়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইট বাতিলের কোনো আশঙ্কা নেই।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রোববার সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা পরবর্তীতে ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নীত হয়। বিমান চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২০০০ মিটার দৃষ্টিসীমা প্রয়োজন, কিন্তু বর্তমানে সৈয়দপুরে রয়েছে মাত্র ৩০০ মিটার দৃষ্টিসীমা। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে গড়ে ১৫-১৬টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়, তবে শীতকালীন ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এদিকে, শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে পুরো নীলফামারী, যার ফলে মহাসড়কে যানবাহন ধীর গতিতে চলাচল করেছে। এতে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকগুলোর গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। নাবিল পরিবহনের চালক আব্দুল মজিদ জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হয়েছে, যার ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেড় ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে।
তীব্র শীতের কারণে অভাবী ও ছিন্নমূল মানুষদের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার মানুষরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। শীতজনিত রোগব্যাধি বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং জেলা সদরসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
What's Your Reaction?