কবি এরশাদ মজুমদার মারা গেছেন
সাংবাদিক, কবি, অনুবাদক ও গবেষক এরশাদ মজুমদার আর নেই। শনিবার রাত ১০:৪৫-এ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত রোগ, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় তিনি ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
সাংবাদিক, কবি, অনুবাদক ও গবেষক এরশাদ মজুমদার আর নেই। শনিবার রাত ১০:৪৫-এ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত রোগ, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় তিনি ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
১৯৪০ সালের ৮ মার্চ ফেনীর উকিলপাড়ার মজুমদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এরশাদ মজুমদার। তিনি ফেনী কলেজ, জগন্নাথ কলেজ এবং ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
সাংবাদিকতা
এরশাদ মজুমদার সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক বাংলার বাণী, এবং দৈনিক জনপদ-সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেন। পাকিস্তান আমলে তিনি পাকিস্তান অবজার্ভার-এ অর্থনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন। দেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে তিনি সুপরিচিত।
১৯৭৮ সালে তিনি সাপ্তাহিক রিপোর্টার-এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দৈনিক ফসল এবং দৈনিক রিপোর্টার-এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি ডেইলি নিউজ এবং ডেইলি নিউ নেশন-এ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সাংবাদিকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
সাহিত্য ও অনুবাদ
এরশাদ মজুমদার একজন প্রতিভাবান লেখক ও অনুবাদক। তার অনুবাদ কর্মের মধ্যে রুমি ও মনসুর হাল্লাজের কবিতা উল্লেখযোগ্য। গল্প, উপন্যাস, কবিতা এবং ছড়াসহ তার ১৪টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- মায়ের চিঠি
- নায়িকা
- নিজেকে বিবস্ত্র করে (অনুবাদ)
- কালো কবিদের কবিতা
- ঢাকার ৫শ’ বছর
- ৪৮ নম্বর তোপখানা রোড
- তুর্কি কবিতার অনুবাদ
- পিতা পুত্রকে
তার আলোচিত বই ‘বায়া দলিলের সন্ধানে’, যেখানে লেখকের শতাধিক কলাম সংকলিত হয়েছে, পাঠকমহলে ব্যাপক প্রশংসিত।
এরশাদ মজুমদারের মৃত্যুতে সাহিত্য ও সাংবাদিকতা অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
What's Your Reaction?