৯ ঘন্টা ১১ মিনিটে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে কিউই ওপেনার
তিন অঙ্কের রানে পৌঁছনোর আগে আর মাত্র ৭ মিনিট সময় ক্রিজে কাটালেই বিশ্বরেকর্ড গড়তেন জিৎ রাভাল। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ২৪টি টেস্ট খেলা এই ওপেনার অল্পের জন্য হাতছাড়া করেন ইতিহাসের সবচেয়ে মন্থরতম ফাস্ট ক্লাস সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড। তবে তাতে কী, এই রেকর্ডও বা কম কিসে।
তিন অঙ্কের রানে পৌঁছনোর আগে আর মাত্র ৭ মিনিট সময় ক্রিজে কাটালেই বিশ্বরেকর্ড গড়তেন জিৎ রাভাল। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ২৪টি টেস্ট খেলা এই ওপেনার অল্পের জন্য হাতছাড়া করেন ইতিহাসের সবচেয়ে মন্থরতম ফাস্ট ক্লাস সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড। তবে তাতে কী, এই রেকর্ডও বা কম কিসে।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা প্লাঙ্কেট শিল্ডের ম্যাচ ছিল নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের মধ্যে। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের অধিনায়ক জিৎ রাভাল ১১ বলে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি লড়াকু শতরান করেন।
জিৎ ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ২১৫ বলে। সাহায্য নেন ৪টি বাউন্ডারির। এরপর ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে তিন অঙ্কের গণ্ডি টপকান ৩৬৬ বলে। এ জন্য ক্রিজে থেকেছেন তিনি ৫৫১ মিনিট! অর্থাৎ ৯ ঘণ্টা ১১ মিনিট ব্যাট করার পরে শতরান পূর্ণ করেন জিৎ।
মন্থরতম ফাস্ট ক্লাস সেঞ্চুরির শীর্ষ রেকর্ডটা পাকিস্তানের মুদাসসার নাজারের। ১৯৭৭ সালে লাহোরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১১৪ রানের ইনিংসের পথে ৫৫৭ মিনিটে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন তিনি।
২৪ বছর পর নাজারের চেয়ে এক মিনিট কম সময় নিয়ে সেঞ্চুরি করেন ভারতের সাদাগোপান রামেশ। ২০০১ সালে রাঞ্জি ট্রফিতে তামিলনাড়ুর হয়ে কেরালার বিপক্ষে ৫৫৬ মিনিটে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
আর নিউ জিল্যান্ডের হয়ে মন্থরতম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা এতদিন ছিল জেফ ক্রোর। ১৯৮৭ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে তিনি সেঞ্চুরি করেন ৫১৬ মিনিটে। কিউইদের মাটিতে মন্থরতম সেঞ্চুরির রেকর্ড অবশ্য এখন রাভালের। এর আগে ১৯৭৮ সালে অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ৪৮৭ মিনিটে সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্লাইভ র্যাডলি।
What's Your Reaction?