ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হল আনিসুল সালমান পলকসহ ১৬ জন আসামিকে
**জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় সাবেক আওয়ামী লীগ মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে**
**জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় সাবেক আওয়ামী লীগ মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে**
জুলাই-আগস্ট মাসের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ মোট ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাদেরকে প্রিজন ভ্যানে করে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। বিভিন্ন কারাগার থেকে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, আমলা, বিচারপতি এবং রাজনীতিবিদদের আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে গোলাম দস্তগীর গাজীকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে আনা হয়েছে।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছিলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনার বিষয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুইটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আজ, ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। এই মামলায়ই তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, আব্দুর রাজ্জাক, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও সচিব জাহাংগীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এবং কামরুল ইসলাম।
গত ১৭ অক্টোবর ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ২৭ অক্টোবর, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো, হত্যার নির্দেশ দেওয়া এবং এর পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়, যার মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
What's Your Reaction?