অনিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ প্রকাশ করলেন শাবনূর
নব্বই দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর, যিনি তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর, নির্মাতা এহতেশামের পরিচালনায় ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে রূপালী পর্দায় অভিষেক ঘটে এই অভিনেত্রীর।
নব্বই দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর, যিনি তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর, নির্মাতা এহতেশামের পরিচালনায় ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে রূপালী পর্দায় অভিষেক ঘটে এই অভিনেত্রীর।
তবে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পর শাবনূর বর্তমানে কিছুটা দূরে সরে গেছেন। কয়েক বছর হলো তিনি অভিনয়ে বিরতি নিয়েছেন এবং প্রবাসী হয়েছেন। এখন তিনি তার সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতেই বেশিরভাগ সময় কাটান।
আজ (১৭ ডিসেম্বর) শাবনূর তার ৪৬তম জন্মদিন পালন করছেন। এই উপলক্ষে তার অনুরাগীরা সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছবিও পোস্ট করছেন। তবে জন্মদিনে গণমাধ্যমের সামনে এসে শাবনূর তার জীবন নিয়ে বেশ কিছু আক্ষেপও ব্যক্ত করেছেন, যা তার ভক্তদের মাঝে চিন্তার উদ্রেক করেছে।
শাবনূরের জীবন অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। আবেগ আপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, “দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যে সব ঝড়ঝাপটা আমি সহ্য করেছি, তা বোধহয় পৃথিবীর অন্য কোনো শিল্পীকে এতটা সহ্য করতে হয়নি। প্রথম ছবি ‘চাঁদনী রাতে’ থেকে শুরু করে, নানা ব্যক্তিগত ও পেশাগত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। সালমান শাহর মৃত্যু, মিথ্যে সম্পর্কের গুঞ্জন, একাধিকবার এফডিসির সমিতি কর্তৃক ব্যান হওয়া—এমনকি পারিবারিক টানাপোড়েনও আমাকে ভীষণভাবে অতিষ্ঠ করেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “যদি অন্য কেউ হত, হয়তো তারা পাগল হয়ে যেত, মাদক গ্রহণ করত কিংবা আত্মহত্যা করত। কিন্তু আমি সব নেগেটিভতা নিজের মনের শক্তি দিয়ে পাশ কাটিয়ে জীবনটাকে পজিটিভভাবে গড়ে তুলতে পেরেছি।”
বিচ্ছেদের পর শাবনূরের সাংসারিক জীবনের প্রতি আর কোনো আগ্রহ নেই, তাও তিনি স্পষ্ট করে জানান। তিনি বলেন, “বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া যে কোনো নারীর জন্য ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, আর সে কারণেই আমি ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আর বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা নেই, কারণ আমার একমাত্র পুত্র আইজানকে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। তাকে একটি ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
কাজে ফেরার প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, “গত বছর ‘রঙ্গনা’ নামে একটি ছবিতে কাজ শুরু করেছিলাম, কিন্তু নানা কারণে সেই ছবির কাজ এখনও শেষ হয়নি। শিগগিরই কাজে ফিরতে চাই।”
এছাড়া, শাবনূরের সংসার জীবনের শেষ পর্ব ছিল ২০২০ সালে, যখন তিনি স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দেন। ২০১1 সালে তার সঙ্গে আংটি বদল হলেও ২০১2 সালে তারা বিয়ে করেন, এবং ২০১৩ সালে তাদের এক পুত্রসন্তান জন্ম নেয়, যার নাম আইজান নিহান।
তালাকের নোটিশে শাবনূর জানিয়েছিলেন, “আমার স্বামী মাদকাসক্ত, আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। তার কারণে আমার জীবনে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সে আমার থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।”
এছাড়া, শাবনূর বলেন, “এ কারণে মনে হয়েছে, তার সঙ্গে আমার আর বাস করা সম্ভব নয় এবং আমি সুখী হতে পারব না।”
What's Your Reaction?