ওবায়দুল কাদেরের তিন মাস লুকিয়ে থাকার বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সরকার পতনের পর তিন মাস ধরে দেশের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন—এমন কোনো তথ্য সরকারের কাছে ছিল না। জানলে তাকে গ্রেফতার করা হতো, মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সরকার পতনের পর তিন মাস ধরে দেশের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন—এমন কোনো তথ্য সরকারের কাছে ছিল না। জানলে তাকে গ্রেফতার করা হতো, মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভা শেষে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিন একটি স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, যেখানে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও ওবায়দুল কাদের দেশের মধ্যে আত্মগোপনে ছিলেন। সেই খবরের ভিত্তিতে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "যদি সরকার তার অবস্থান জানত, তবে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা হতো।"
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ইন্টারপোলকে পুনরায় সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।"
গণমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, গণঅভ্যুত্থান (২০১৮ সালের) পর ৩ মাস ৫ দিন ওবায়দুল কাদের দেশে ছিলেন। এই সময়ে তিনি নিরাপদে ছিলেন এবং দলের সভাপতির মতো তিনিও ভারতে আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন। এসময় তিনি দলীয় সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, তবে কোনো সাড়া পাননি।
সূত্রের দাবি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বিরক্ত ছিলেন। "ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট" এমন বক্তব্যের পরই আন্দোলন আরও জোরালো হয়ে উঠেছিল, এমনটাই মনে করেন দলের নেতারা।
ওবায়দুল কাদের ৮ নভেম্বর মেঘালয়ের রাজধানী শিলং হয়ে কলকাতায় পৌঁছান এবং সেখানে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিশ্রাম নেন। তবে তিনি কীভাবে দেশ ছাড়বেন, সে নিয়ে তিনি পরিকল্পনা করছিলেন। সবুজ সংকেত পাওয়ার পর সড়কপথে বিশেষ ব্যবস্থায় কলকাতা পৌঁছান। জানা গেছে, তিনি দিল্লি না গিয়ে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কিছু লোক লবি করছিলেন, তবে শেখ হাসিনা কোনো আগ্রহ দেখাননি।
What's Your Reaction?