বকেয়া বেতন চাইতে মহাসড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকার ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী এলাকার আউচপাড়া এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
গাজীপুরে এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকার ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী এলাকার আউচপাড়া এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, গাজীপুরের টঙ্গী আউচপাড়া এলাকায় টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা চলতি মাসের অর্ধেক সময় পার হলেও এখনও তাদের বেতন দেয়া হয়নি। এর আগে শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে, কারখানা কর্তৃপক্ষ গত ১০ ডিসেম্বর থেকে বন্ধের নোটিশ দেয়।
নোটিশে বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর বেতন দেয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর থেকে কারখানা খোলার কথা ছিল। তবে, কর্তৃপক্ষ কারখানা না খুলে নতুন করে আবার বন্ধের নোটিশ দেয়, যেখানে ২২ ডিসেম্বর বেতন দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং ২৩ ডিসেম্বর থেকে কারখানা খুলে দেয়ার কথা বলা হয়।
এই বার বার সময় পরিবর্তন ও বেতন না দেওয়ার নানা কারণে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হন। বুধবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে নতুন বন্ধের নোটিশ দেখে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং আউচপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১.৩০টা পর্যন্ত ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সড়ক বন্ধ থাকার কারণে উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, যার ফলে চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেককেই পায়ে হেঁটে তাদের গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
কারখানার শ্রমিক রোকেয়া আক্তার বলেন, "মালিক দীর্ঘদিন ধরে প্রতি মাসেই বেতন দিতে গড়িমসি করেন। আমাদের দাবি, দ্রুত বেতন পরিশোধ করে কারখানা খুলে দেওয়া হোক।"
আরেক শ্রমিক আমিনুল ইসলাম বলেন, "মঙ্গলবার সকালে আমরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ বলেছিল বেতন আদায় করে দিবে, কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেনি।"
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, "শ্রমিকদের এক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ বেতন না দিয়ে আবারও কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়। শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।"
তিনি আরও জানান, সড়ক অবরোধের কারণে উভয় দিকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়, তবে শ্রমিকদের বুঝিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে সড়ক থেকে সরানো হয়, যার ফলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
What's Your Reaction?