জাকের ও মেহেদী কীভাবে পেয়েছেন সফলতা
টেস্ট সিরিজে অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একের পর এক পারফরম্যান্সে নিজেকে মেলে ধরেছেন জাকের আলী। কিংসটনে তার ৯১ রানের ইনিংসেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট জয়ী হয়েছিল। তারপর ওয়ানডে সিরিজেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার পারফরম্যান্স তো ছিল একেবারে চমকপ্রদ। এক সফরে তিন ফরম্যাটেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স—এটাই ছিল জাকেরের অনবদ্য কীর্তি।
টেস্ট সিরিজে অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একের পর এক পারফরম্যান্সে নিজেকে মেলে ধরেছেন জাকের আলী। কিংসটনে তার ৯১ রানের ইনিংসেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট জয়ী হয়েছিল। তারপর ওয়ানডে সিরিজেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার পারফরম্যান্স তো ছিল একেবারে চমকপ্রদ। এক সফরে তিন ফরম্যাটেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স—এটাই ছিল জাকেরের অনবদ্য কীর্তি।
জাকের জানালেন, ফরম্যাট বদলালেই তার চিন্তাভাবনাও বদলে যায়। তিনি বলেন, "উইকেট অনুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করি। ফরম্যাট বদলানোর সময় আমি নিজের মানসিকতাও বদলে ফেলি।"
একসময় দলে জায়গা পাওয়া ছিল দুষ্কর, এমন একজন ছিলেন স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে কঠোর পরিশ্রম এবং মানসিকতার পরিবর্তন তাকে দলে জায়গা করে দিয়েছে। মেহেদী জানিয়েছেন, নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জের ফলেই তিনি সাফল্য পেয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ যে টি-২০ সিরিজ জিতেছে, তাতে মেহেদী ও জাকেরের অবদান ছিল সবচেয়ে বড়।
পুরস্কার বিতরণী শেষে যখন সবাই ট্রফির সঙ্গে পোজ দিচ্ছিলেন, তখন বাংলাদেশ দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা ছোট ছোট দলে আলোচনা করছিলেন। সৌম্য সরকার হাতে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে এক পাশে বসেছিলেন, কোচ ফিল সিমন্স বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন, আর কিছু ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমর্থকদের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাকের বলেন, “পুরোটাই মানসিকতার ব্যাপার। ক্যারিবীয়রা যে কোনো ফরম্যাটেই মারমুখী খেলে, বিশেষ করে নিজেদের কন্ডিশনে আরও ভয়ঙ্কর। বিশ্বকাপে ভালো খেলতে পারিনি, তবে দেশে ফিরে প্রস্তুতি নিয়েছি, এবং এই সফরের জন্যও কাজ করেছি। এরপরই সাফল্য এসেছে।”
এদিকে মেহেদী হাসান সাফল্য নিয়ে বলেন, “বিশ্বকাপের সময় দলের কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ পাইনি। তবে এখানে আমি আমার গ্লোবাল সুপার লিগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমি উইকেট টু উইকেট বল করেছি এবং পরিকল্পনাগুলো ঠিকঠাক কাজে লেগেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই পজিশনে কয়েকজনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়, তবে মিরাজ যেভাবে ব্যাট করছে, তার সঙ্গে একই পজিশনে খেলা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছে।”
What's Your Reaction?