জোলানির মাথার দাম ১ কোটি ডলারের ঘোষণা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের শাসন শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে, যখন আসাদ আল-হাফিজ ক্ষমতায় আসেন। তার পর থেকে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সিরিয়া শাসন করেছেন তার পুত্র বাশার আল-আসাদ।
সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের শাসন শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে, যখন আসাদ আল-হাফিজ ক্ষমতায় আসেন। তার পর থেকে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সিরিয়া শাসন করেছেন তার পুত্র বাশার আল-আসাদ। তবে দীর্ঘকালীন এই শাসনের পতন ঘটানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির, যিনি এখন আহমেদ আল-শারা নামে পরিচিত।
মাত্র ১২ দিনের বিদ্রোহী অগ্রাভিযানের পর, বাশার আল-আসাদের বিস্ময়কর পরাজয় আন্তর্জাতিক মহলে চমক সৃষ্টি করেছে। বিদ্রোহীরা রোববার (৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর, আসাদ পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় চলে যান।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আবু মোহাম্মদ আল-জোলানিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে, বিশেষ করে তার নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়া দলকে ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন নিষিদ্ধ করে এবং তার মাথার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু, ১১ বছরের মাথায় যুক্তরাষ্ট্র তার সিদ্ধান্ত বদলেছে এবং গতকাল দামেস্কে সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে প্রথম সরাসরি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে মার্কিন কর্মকর্তারা। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তা বার্বারা লিফ, প্রেসিডেন্টের হোস্টেজ বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি রজার কারস্টেনস এবং জেষ্ঠ্য উপদেষ্টা ড্যানিয়েল রুবিনস্টাইন।
বৈঠকের পর বার্বারা লিফ এক বিবৃতিতে বলেন, তাহরির আল-শামের প্রধান আহমেদ আল-শারার সঙ্গে তাদের আলোচনা সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, সিরিয়া এবং বহির্বিশ্বের জন্য কোনো গোষ্ঠী যেন হুমকি সৃষ্টি না করে, সেজন্য তারা গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছেন। উল্লেখযোগ্য যে, আল শারার মাথার উপর ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, সেটি এখন তুলে নেওয়া হয়েছে।
আসাদের পতনের পর, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আগে ঘোষণা করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এইচটিএসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। এক সময় সিরিয়ার আল-কায়েদার শাখার সঙ্গে জড়িত থাকা এই গোষ্ঠী এখন নিজেদের বদলানোর দাবি করছে এবং তারা একটি সামগ্রিক ও সমন্বিত প্রতিষ্ঠানের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।
আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, সিরিয়া এক দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি আর প্রতিবেশী বা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য কোনো হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।
What's Your Reaction?