এনসিএলে চট্টগ্রামকে পরাজিত করে টিকে রইল খুলনা
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৭ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইল খুলনা বিভাগ। আগে ব্যাটিং করে খুলনা ইনিংস শেষ করে ১৪৬ রানে। জবাবে চট্টগ্রাম থামে ১৩৯ রানে, ফলে ৭ রানের জয় তুলে নেয় খুলনা।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৭ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইল খুলনা বিভাগ। আগে ব্যাটিং করে খুলনা ইনিংস শেষ করে ১৪৬ রানে। জবাবে চট্টগ্রাম থামে ১৩৯ রানে, ফলে ৭ রানের জয় তুলে নেয় খুলনা।
শেষ তিন ওভারে চট্টগ্রামের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। কিন্তু মাসুম খান টুটুল, মেহেদী হাসান রানা এবং আল আমিন হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে চট্টগ্রাম সেই রান করতে ব্যর্থ হয়। এই ৭ রানের জয়ে খুলনা ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল। আগামী রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা খেলবে ঢাকা মেট্রো ও রংপুরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দলের বিপক্ষে।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে খুলনা ১৪৬ রানের সংগ্রহ পায়। তবে চট্টগ্রামের শুরুটা ছিল দুর্বল। এলিমিনেটর রাউন্ডের এই ম্যাচে তামিম ইকবাল খেলেননি। তাকে ছাড়া ওপেনিং জুটি মাত্র ১১ রানেই থেমে যায়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল, তবে ৬৪ রান সংগ্রহ করেছিল।
৬ষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি এবং নাঈম হাসান ৫৩ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। তবে লক্ষ্য থেকে ৩০ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে যান রাব্বি। তার আউটের পর চট্টগ্রাম মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। তাদের ইনিংস থামে ১৩৯ রানে। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন রাব্বি, নাঈম হাসান করেন ২৮ রান।
খুলনার বোলারদের মধ্যে মাসুম খান টুটুল এবং মেহেদী হাসান রানা প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন, নাহিদুল ইসলাম নেন একটি উইকেট। ১৮তম ওভারে মাসুম এবং ১৯তম ওভারে রানাই খুলনাকে ম্যাচে ফেরান। মাসুম তার ওভারে মাত্র ৪ রান দেন এবং রানা দেন ১ রান।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অধিনায়ক সোহানের দায়িত্বশীল ইনিংসে খুলনা একটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায়। ৩৯ বলে ৫২ রান করেন সোহান। বাকিরা খুব একটা সফল হতে পারেননি। আজিজুল তামিম ১৬ বলে ২০ রান এবং নাহিদুল ইসলাম ১৯ বলে ১৮ রান করেন।
What's Your Reaction?