অভিজ্ঞ আইনজীবী বন্ধুকে হারানোর দুঃখ প্রকাশ করলেন ড. কামাল হোসেন
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন হাসান আরিফের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “আমি এক অভিজ্ঞ আইনজীবী বন্ধুকে হারিয়েছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন হাসান আরিফের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “আমি এক অভিজ্ঞ আইনজীবী বন্ধুকে হারিয়েছি। তিনি ছিলেন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বারের (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তার চলে যাওয়ায় বারে একটি শূন্যতা তৈরি হবে।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের মানুষ আমরা একে একে হারাচ্ছি, যাদের অভিজ্ঞতা আর কৃতিত্ব পূর্ণ করা কঠিন।”
ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের সময় হাসান আরিফের ভূমিকা ছিল স্মরণীয়। তিনি ছিলেন একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী, এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে হারিয়ে গভীরভাবে শোকাহত। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।"
এছাড়া জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এবং অন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।
জানাজায় স্মৃতিচারণ করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এ এফ হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ, এবং তার জুনিয়র অ্যাডভোকেট আশিক আল জলিল। জানাজা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এ মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এ এফ হাসান আরিফ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ৩টা ৩৫ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৭-২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এবং কলকাতা সেন্ট জেভিয়াস কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং পরে বাংলাদেশ হাইকোর্টে পেশাগত জীবন শুরু করেন।
What's Your Reaction?