লাকসামে সরকারি খালের মাটি উত্তোলনে অনিয়মের অভিযোগ
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার অশ্বদিয়া সরকারি খালের মাটি অবৈধভাবে উত্তোলন এবং বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন ৪-৫টি এক্সকেভেটর ব্যবহার করে খালের মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মাটি পাচার করছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার অশ্বদিয়া সরকারি খালের মাটি অবৈধভাবে উত্তোলন এবং বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন ৪-৫টি এক্সকেভেটর ব্যবহার করে খালের মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মাটি পাচার করছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের অশ্বদিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিজরা-নোয়াপাড়া সরকারি খালের পাড়ের মাটি কেটে কৃষি জমিতে বড় বড় মাটির স্তূপ তৈরি করা হয়েছে। এই মাটি সরকারি অর্থায়নে গত দুই বছর আগে খাল খনন করার সময় উত্তোলন করা হয়েছিল, যা এখন অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিন ধরে এই সিন্ডিকেট মাটি ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন ইটভাটা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাড়িতে বিক্রি করছে। প্রতি ট্রাক্টর থেকে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা করে পাচার করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বাকই গ্রামের লালু মিয়ার নেতৃত্বে এবং পলুয়া গ্রামের জাফর ও তারাপুর গ্রামের আক্তার মিয়ার সহযোগিতায় এই অবৈধ মাটি পাচারের কাজ চলছে। তারা খালের পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বসতবাড়ি ও পুকুর ডোবা ভরাট করছে।
এ বিষয়ে লালু মিয়া বলেন, "আমার একক নেতৃত্বে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, এমন কথা সঠিক নয়। আরো কয়েকজন মিলে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটছি। আমি খালের জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি নিচ্ছি, এতে কোনো অপরাধ নেই।"
অন্যদিকে, অভিযুক্ত আক্তার মিয়া বলেন, "আমি মাটি কাটতে সাহায্য করিনি, বরং তারা খালের মাটি এক্সকেভেটর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি বাঁধা দিলে তারা বলেছে, 'বিএনপি করি, কিছু না করলে কর্মী চালাব কীভাবে?'"
এ ঘটনার বিষয়ে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ শনিবার সন্ধ্যায় জানান, "খাল খননের মাটি এক্সকেভেটরের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানার পর শনিবার বিকালে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। তখন খননকারী এবং ট্রাক্টরের চালকরা পালিয়ে যায়। আমরা ৪টি ট্রাক্টর জব্দ করেছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
What's Your Reaction?