ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের উপর একাধিক হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর, যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার এবং সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালায়।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর, যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার এবং সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, তারা একাধিক হুথি ড্রোন এবং লোহিত সাগরের ওপর একটি অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যবস্তু করে আঘাত করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
হুথি বিদ্রোহীরা জানায়, তারা একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের তেল আবিবের কাছে মধ্য ইসরাইলের জাফা এলাকায় একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এই হামলায় ইসরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে।
হামলার কিছু সময় পর, যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালায়। তারা এফ/এ-১৮ এবং অন্যান্য নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্পদ ব্যবহার করে হুথিদের একাধিক ড্রোন এবং একটি অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।
এছাড়া, সেন্ট্রাল কমান্ড একটি দ্বিতীয় বিবৃতিতে জানায়, লোহিত সাগরের ওপর ভুলবশত ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান থেকে উড্ডয়নরত একটি এফ/এ-১৮ বিমান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করলে সেটি ভূপাতিত হয়। তবে, ভূপাতিত বিমানটি ইয়েমেন অপারেশনে জড়িত ছিল কি না, তা স্পষ্ট হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তাদের সর্বশেষ হামলা নিজেদের এবং মিত্রদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতির অংশ।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলি বাহিনীর হামলার জবাবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালাতে শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। প্রথম দিকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে হামলা চালালেও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপরও হামলা চালাচ্ছে এই গোষ্ঠীটি।
What's Your Reaction?